৬০ হাজার ডোজ করোনা ভ্যাকসিন পৌঁছেছে মৌলভীবাজারে

শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২১ | ৪:৫৬ অপরাহ্ণ

৬০ হাজার ডোজ করোনা ভ্যাকসিন পৌঁছেছে মৌলভীবাজারে
apps

অবশেষে অপেক্ষার অবসান শেষ। মৌলভীবাজারে পৌঁছেছে ৬০ হাজার ডোজ করোনা ভ্যাকসিন। শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা ২টা ৩০ মিনিটে জেলা ইপিআই ভবনে টিকাগুলো পৌঁছায়।

মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ইকবাল হাসান জানান, করোনা প্রতিরোধকারী করোনা ভ্যাকসিন পৌঁছেছে। ৬ হাজার ভায়েলে মোট ৬০ হাজার ডোজ টিকা এসেছে । ইপিএই ভবনে ভ্যাকসিন সংরক্ষণে ফ্রিজের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে ভ্যাকসিন দেয়ার মধ্য দিয়ে দেশে শুরু হয়েছে করোনা প্রতিরোধী টিকাদান কর্মসূচি। রাজধানীর পাঁচটি হাসপাতালে চলছে করোনা টিকাদান কর্মসূচি। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে একযোগে চলবে করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিনের প্রয়োগ।

মৌলভীবাজারে কারা পাচ্ছেন করোনার টিকা, প্রথম ধাপে মৌলভীবাজারে প্রায় ২৯ হাজার ফ্রন্ট লাইনার পাবেন করোনা টিকা। টিকা প্রদান, সংরক্ষণসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। সব ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে টিকাদান শুরু হবে বলে জানিয়েছে সিভিল সার্জন কার্যালয়।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ১৫টি মানদণ্ডে প্রথম ধাপে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের কাছ থেকে প্রায় ২৯ হাজার টিকার চাহিদা পাওয়া গেছে। এখন সবার প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র সংগ্রহের কাজ চলছে। সব ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে টিকাদান শুরু হতে পারে।

টিকাদান কর্মসূচিকে সামনে রেখে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালসহ সাত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রস্ততি নিচ্ছে। সঠিকভাবে কর্মসূচি সমন্বয় ও বাস্তবায়নের জন্য মৌলভীবাজার সিভিল সার্জনকে সভাপতি করে গঠন করা হয়েছে ছয় সদস্য বিশিষ্ট ‘করোনা টিকা গ্রহণ কমিটি’।

কমিটির সভাপতি জানান, বর্তমানে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ চলছে। মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে আটটি বুথে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে দুটি করে বুথে টিকাদান করা হবে। প্রতিটি বুথে দুজন স্বাস্থ্যকর্মী ও চারজন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন। এর মধ্যে মেডিকেল অফিসার, নার্স, মিডওয়াইফ এবং পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকাগণ থাকবেন। জেলা সদর হাসপাতালের আটটি বুথে ১৬ জন টিকা দানকারী ও ৩২জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন।

ভ্যাকসিন সংরক্ষণের বিষয়ে সভাপতি জানান, উপজেলা বাদে শুধু জেলা হাসপাতালে প্রায় ১৫ হাজার ভায়েল আছে। প্রতিটি ভায়েলে ১০টি করে এক সাথে দেড় লাখ ডোজ টিকা সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।

সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. বিনেন্দু ভৌমিক জানিয়েছেন, ‘প্রথম ধাপে টিকা দেয়া হবে ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, বিজিবি, সংবাদকর্মী, আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত বাহিনী, ব্যাংক বীমা প্রশাসনের মাঠকর্মীসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সম্মুখযোদ্ধারা। ইতোমধ্যে ঢাকা থেকে মৌলভীবাজারের একদল ডাক্তার প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন। তাদের মাধ্যমে চলতি মাসেই শেষ হবে টিকাদানের সকল প্রশিক্ষণ।

Development by: webnewsdesign.com