বাংলাদেশ টেলিভিশন। বিটিভি নামেই যা বেশি পরিচিত। দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম এই টেলিভিশন সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৪ সালের ২৫ শে ডিসেম্বর। সে হিসেবে আজ ৫৬ বছরে পা রেখেছে এ চ্যানেলটি। ঢাকার ডি.আই.টি ভবনে (বর্তমান রাজউক ভবন) তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশন কর্পোরেশনের ঢাকা কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়। স্বাধীনতার পর এর নাম রাখা হয় বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। শুরুতে বিটিভি ছিল সাদাকালো। ১৯৮০ সালে এটি রঙিন জগতে প্রবেশ করে।
১৯৭৫ সালে ডিআইটি ভবন ছেড়ে রামপুরার নিজস্ব ভবনে ওঠে বাংলাদেশ টেলিভিশন। বর্তমানে ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রামে বিটিভি’র আলাদা পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্র আছে। এছাড়া দেশের ১৪টি স্থানে আছে উপ-কেন্দ্র এবং ‘বিটিভি ওয়ার্ল্ড’ নামে বৈশ্বিক চ্যানেল।
ফেরদৌসী রহমানের গাওয়া গান দিয়ে ১৯৬৪ সালের ২৫ শে ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করেছিল আজকের বিটিভি। গানটি ছিল আবু হেনা মোস্তফা কামালের লেখা-এই যে আকাশ নীল হলো আজ/এ শুধু তোমার প্রেমে। টেলিভিশন কেন্দ্রের প্রথম প্রযোজকদের মধ্যে ছিলেন মুস্তাফা মনোয়ার, জামান আলী খান ও মনিরুল ইসলাম। এর পরপরই যোগ দেন শহীদ কাদরী, আবদুল্লাহ আল মামুন, সৈয়দ আবদুল হাদী, দীন মোহাম্মদ, মোহাম্মদ জাকারিয়া, আতিকুল হক চৌধুরী। আর অনুষ্ঠান বিভাগের প্রথম ব্যবস্থাপক ছিলেন সঙ্গীতজ্ঞ কলিম শরাফী। প্রতিষ্ঠার পর থেকে নব্বই দশক পর্যন্ত দর্শকদের কাছে বাংলাদেশ টেলিভিশনের তুমুল জনপ্রিয়তা ছিল। বিশেষ করে বিটিভি’র নাটক ছিল দর্শক চাহিদার শীর্ষে।
বাংলাদেশ ছাপিয়ে ভারতের দর্শকদের কাছেও বিটিভি’র নাটকের চাহিদা ছিল। কালের পরিক্রমায় আকাশ সংস্কৃতিতে নানা স্যাটেলাইট টেলিভিশনের আর্বিভাব বিটিভি’র জৌলুসে ভাগ বসায়। তারপরও দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে পুরনো টেলিভিশন হিসেবে বাংলাদেশ টেলিভিশনের আলাদা মর্যাদা আছে।
Development by: webnewsdesign.com