আর্থিক অভাব অনটনের কারণে পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যাওয়া দুই শিক্ষার্থীর পড়ালেখার দায়িত্ব নিয়েছেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন। সোমবার (৫ জুন) আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন বলেন, সম্প্রতি আমি শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের জুলেখা খাসিয়া পুঞ্জি এলাকা পরিদর্শন করি।
তখন জানতে পারি খাসিয়া নৃ-গোষ্ঠীর দুইটি পরিবারে দুইজন শিক্ষার্থী আর্থিক অভাবের কারণে পড়ালেখা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু ঝরে পড়া শিক্ষার্থী দুইজনের বেশ ইচ্ছা তারা পড়াশোনা করে একজন শিক্ষক এবং অন্যজন সরকারি চাকরি করবে। প্রথমে কথা বলি বৈশাখী সুচেন এর সঙ্গে।
সে জানালো ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। ভর্তি ফি, মাসিক বেতন, স্কুল ড্রেস এবং বই-খাতা কলম কেনার সামর্থ না থাকার কারণে তার পরিবার তাকে স্কুল ভর্তি করাতে পারেনি। পড়ালেখা করে একজন শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন ছিল তার। পড়ালেখার ইচ্ছে থাকলেও তার শিক্ষাজীবনের ইতি টানা হয়ে গেছে টাকার কারণে। পড়ালেখার প্রতি তার আগ্রহ এবং স্বপ্ন পূরণে আমি তাকে পড়ালেখার নিশ্চয়তা দিয়ে এসেছিলাম।
ইউএনও আরো বলেন, একই গল্প খুশি খংলিয়াম এর ক্ষেত্রেও। সে কলেজে ভর্তি হয়েও আর্থিক অভাব অনটনের কারণে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারছে না। সেও পড়তে চায়, চাকরি করতে চায়। তার স্বপ্ন সরকারি চাকরি করার। তখন তাকেও আমি পড়ালেখা চালিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসি। দরিদ্র শিক্ষার্থী দুইজনের ইচ্ছেগুলো, স্বপ্নগুলোকে আমি সম্মান করি। আজকের বৈশাখী, খুশি নিশ্চয় আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের কারিগর। উপজেলা প্রশাসন শ্রীমঙ্গলের উদ্যোগে আবার শুরু হলো তাদের শিক্ষাজীবন।
রোববার (৪ জুন) ঝরে পড়া দুই শিক্ষার্থী আমার অফিসে এসেছিল। পুনরায় তারা পড়ালেখা করতে পেরে ভীষণ খুশি হয়েছে। এটা জানানোর জন্যই আমার কার্যালয়ে এসেছিল বলে জানান শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
Development by: webnewsdesign.com