দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচের আমদানি বন্ধ থাকলেও বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি থাকায় কাঁচা মরিচের দাম কমেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫ টাকা কমে পাইকারি বাজারে এখন প্রতি কেজি ২০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
মঙ্গলবার(৭ ডিসেম্বর) হিলি স্থলবন্দরের কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহ আগে পাইকারি বাজারে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। যা খুচরা বাজারে ৩০ টাকা বিক্রি হয়েছিল। বর্তমানে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। যা খুচরা বাজারে ২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে নিম্নআয়ের মানুষজনের মাঝে।
হিলি বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা শাহরিয়ার আলমাস রক্তিম বলেন, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের মতো সাধারণ মানুষের বেশ সমস্যা হচ্ছে। এর সঙ্গে কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধির কারণে আমাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল। এখন সে অবস্থা অনেকটা কেটে গেছে। বর্তমানে কাঁচা মরিচের দাম কমে ২৫ টাকায় নেমেছে। এতে আমাদের বেশ সুবিধা হয়েছে। দাম কমার কারণে আগে যেখানে কম পরিমাণ কিনতাম এখন একটু বাড়তি কিনতে পারছি। মরিচের মতো অন্যান্য সবজির দাম যদি একটু কমে তাহলে আমাদের জন্য সুবিধা হতো।
হিলি বাজারের কাঁচা মরিচ বিক্রেতা শাকিল আহম্মেদ বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকলেও গত কয়েকদিন ধরে নিয়মিতভাবে কাঁচা মরিচের দাম কমতির দিকে রয়েছে। এর মূল কারণ হলো বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে থাকা ও শীত পড়ায় বগুড়া, নওগাঁসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মরিচের উৎপাদন ভালো হয়েছে। সেই সঙ্গে সব অঞ্চল থেকেই মরিচ উঠতে শুরু করায় বাজারগুলোতে আগের তুলনায় সরবরাহ বাড়ছে। সরবরাহ বাড়লেও সেই তুলনায় চাহিদা না থাকায় দাম কমেছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি রফতানি কারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, দেশের বাজারে দাম বেড়ে গেলে বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করে ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এখন বেশ কিছুদিন ধরে আমদানি বন্ধ রেখেছি আমরা। এর কারণ হলো এখন ভারতে কাঁচা মরিচের যে দাম আমদানি করে দেশের বাজারে বিক্রি করে লোকসান গুনতে হবে। দেশের বাজারে এখন কাঁচা মরিচের দাম অর্ধেকের নিচে নেমেছে। তাই বর্তমানে বেশ কিছু দিন থেকে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি বন্ধ রেখেছে এখানকার ব্যবসায়ীরা।
Development by: webnewsdesign.com