হাকিমপুর উপজেলায় সরিষা চাষে দ্বিগুণ আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের

বুধবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২১ | ৪:৩৫ অপরাহ্ণ

হাকিমপুর উপজেলায় সরিষা চাষে দ্বিগুণ আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের
apps

খাদ্য শস্য ফলে ভরা দেশের উত্তরের জেলা দিনাজপুর। এই জেলা ধানের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু স্বল্প খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় জেলার সর্ব দক্ষিণে সীমান্ত ঘেঁষা হাকিমপুর (হিলি) উপজেলায় সরিষা আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের সেই সাথে এবার উপজেলায় আবাদ বেড়েছে দ্বিগুণ। তবে বাজারে ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সরিষার আবাদ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিস এর তথ্য মতে, গত বছর এ উপজেলায় ১৪শ’ ৪০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছিলো। স্বল্প খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় এবছর উপজেলায় ২৮শ’২৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। সরকারি প্রণোদনায় উপজেলার ৯৪০ জন সরিষা চাষিদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার দিগন্ত মাঠজুড়ে সরিষার সমারোহ। সরিষার ফুলে ছেয়ে গেছে মাঠ। সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখোরিত ফসলের মাঠ। ফুল থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌমাছির দল। এই মৌসুমে সরিষার ভালো ফলনের আশায় কৃষকরা দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কৃষকের পাশাপাশি বসে নেই উপজেলার কৃষি কর্মকর্তারাও। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন ধানের বাাম্পার ফলন পেয়েছে এখানকার কৃষকরা। এরপর এক জমিতে তিনটি ফসল চাষের আশায় আমন ধান কাটার পরেই সরিষা আবাদ করেছেন কৃষকরা। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া ভালো থাকায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন সংশ্লিস্টরা।

উপজেলার প্রত্যন্ত মনশাপুর গ্রামের কৃষক গোলাম রসুল (বাবু) বলেন, আমন ধান কাটা মাড়াই পর ওই জমিতে সরিষা চাষ করলে জমি উর্বর হয়। তাছাড়া সরিষা চাষে তেমন কোন খরচ হয়না। স্বল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় সরিষা চাষে আমার আগ্রহ বেড়েছে। গত বছর আমি ২ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করেছিলাম। উপজেলার কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিয়ে আমি এ বছর ৪ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করেছি। আশা করছি ভালো ফলন পাব।

কোকতাড়া গ্রামের কৃষক আরাফাত হোসেন বলেন, বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই বাজারে সরিষার চাহিদা রয়েছে এবং দামও ভালো পাওয়া যায়। আমার পরিবারের তেলে চাহিদা মেটাতে এবার ২ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনূকূলে থাকলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মমতাজ সুলতানা জানান, উপজেলায় শরিষার আবাদ বৃদ্ধি করতে আমরা নিয়মিত উঠান বৈঠকের মাধ্যমে কৃষকদের সচেতনতার পাশাপাশি বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগে কোন প্রকার ক্ষতি না হলে এবার সরিষার বাম্পার ফলনের সাম্ভবনা রয়েছে।

Development by: webnewsdesign.com