সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় প্রধান শিক্ষক নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে এক শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ দাখিলের তিন মাস পর সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলেই টনক নড়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাদের। ফলে বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। গত বৃহস্পতিবার (২৩.০১.২০২০) সারাদিন অভিযোগের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য উপত্ত্য সংগ্রহ, অভিযোগকারী ঐ শিক্ষিকা ও অভিযুক্তি প্রধান শিক্ষকের লিখিত বক্তব্য নেন তদন্ত কর্মকর্তা বিপ্লব চন্দ্র সরকার। তবে তর্দন্তের বিষয়ে এখনি মুখ খোলতে নারাজ তিনি। অভিযোক্ত শিক্ষক উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের শিবরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল হুদা। তার বাড়ি তাহিরপুর উপজেলার ভাটি তাহিরপুর গ্রামে। আর অভিযোগ করেছেন একেই বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষিকা। জানা যায়, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের এক ছেলে ও মেয়ে আছে। অভিযোগকারী শিক্ষিকার দুইটা মেয়ে আছে।
অজ্ঞাত একটি গ্রামীণফোন নম্বর থেকে এসএমএস আসতো। এসএমএসে কুপ্রস্থাব ও হুমকি দেয়া হতো। ঘটনাটি ওই শিক্ষিকা ম্যনেজিং কমিটির সভাপতিসহ সবাইকে জানিয়ে চাকরীসহ নিজের জীবনের নিরাপত্তাহীনতা ও হুমকির মুখে তাহিরপুর থানায় ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর জিডি করেন (জিডি নং ১৭০)। এরপর পুলিশ প্রযুক্তির সহযোগিতায় জানতে পারেন কুপ্রস্তাবকারী ও হুমকি আসা ওই অপরিচিত মোবাইল নম্বরটি শিবরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল হুদার। তখন প্রধান শিক্ষক নাজমুল হুদা ক্ষমা চেয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। এরপর কিছুদিন যেতে না যেতেই ওই শিক্ষিকাকে আরো বেশি উত্যক্ত করতে শুরু করেন। নিরুপায় হয়ে চাকরী করার স্বার্থে ও নিজের নিরাপত্তার জন্য ২০১৯সালের ২৭অক্টোবর তাহিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করেন। আবেদনটি রিসিভ করেছিলেন সহকারী শিক্ষা অফিসার বিপ্লব চন্দ্র সরকার।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক নাজমুল হুদা জানান,র এই বিষয়ে তার বক্তব্য পরে দেবার কথা বলে ফোন রেখে দেন। এরপর আর তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা বিপ্লব চন্দ্র সরকার জানান, আমি তদন্ত করেছি তদন্ত রির্পোট আমি আমার উর্ধবতন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিবে। অভিযুগের সত্যতা পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমি আর কিছুই বলতে পারব না।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সায়েদ জানান, অভিযোগের বিষয়ে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্ত করেছেন। এখনও আমার কাছে তদন্ত রির্পোট দেন নি। তাই এই বিষয়ে আমি এখন বেশি কিছু বলতে পারছি না। রির্পোট পেলে আমি আমার উর্ধবতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিব। তারাই এই বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবেন। উল্লেখ্য, সহকারী শিক্ষিকার ব্যাক্তিগত মোবাইল নম্বরে দীর্ঘদিন ধরে এই প্রধান শিক্ষক কু প্রস্তাব ও হুমকি দিয়ে আসছিলেন।
Development by: webnewsdesign.com