হবিগঞ্জে স্বস্তির বৃষ্টি বোরো ফসল নিয়ে কৃষকদের দুশ্চিন্তা কাটলো

বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩ | ৪:৫৬ অপরাহ্ণ

হবিগঞ্জে স্বস্তির বৃষ্টি বোরো ফসল নিয়ে কৃষকদের দুশ্চিন্তা কাটলো
হবিগঞ্জে স্বস্তির বৃষ্টি বোরো ফসল নিয়ে কৃষকদের দুশ্চিন্তা কাটলো
apps

হবিগঞ্জ জেলার হাওরাঞ্চলের খাল, বিল, নদীনালা দীর্ঘদিন ধরে টানা খরায় শুকিয়ে যাওয়া এবং বিদ্যুৎ সংকটে সেচকার্য ব্যাহত হওয়ায় ১ লাখ ২২ হাজার ৫ শত ৭৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদকৃত বোরো ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন হাজার হাজার কৃষক এরই মধ্যে বুধবার (২২-মার্চ) সকাল থেকে জেলাজুড়ে আকাশ থেকে নেমেছে স্বস্তির বৃষ্টি। বৃষ্টিতে প্রাণসঞ্চার হয়েছে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে। খরায় শুকিয়ে ফেটে চৌচির হয়ে যাওয়া হাওরের মাটি নরম হয়ে ধানগাছের গোড়ায় রসসঞ্চার হওয়ায় বিবর্ণ হয়ে যাওয়া ধানগাছগুলো পুনরায় সতেজ হয়ে উঠেছে, ধারণ করছে সবুজ রঙ। কৃষকরা জমি পরিদর্শনে ছুটে গেছেন হাওরে। বৃষ্টিতে ধানগাছগুলো সতেজ ও সবুজ হয়ে উঠতে দেখে আনন্দে আত্মহারা হওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে কৃষকদের। কপালের ভাঁজ থেকে কেটে গেছে দুশ্চিন্তার রেখা। অনেকে মনের আনন্দে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করে উপরে দুই হাত মোনাজাত/প্রার্থনা করছেন কেউ কেউ ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশও করছেন।

কৃষক পরিবারের সন্তান হবিগঞ্জ জেলা ন্যাপ’র সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ চৌধুরী বৃষ্টিস্নাত ফসলের মাঠের ছবি পোস্ট দিয়ে লিখেছেন ফসলে প্রাণসঞ্চার হয়েছে। বানিয়াচঙ্গের বাগ মহল্লার সুজাত মিয়া জানিয়েছেন, বৃষ্টি হওয়ায় এখন গাছে থুর (ধানের শীষ) বের হয়ে যাবে। আরও আগে বৃষ্টি হলে অথবা জমিতে সময়মতো সেচ দিতে পারলে চৈত্র মাসের মাঝামাঝিতেই ধানকাটা পড়ে যেতো উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন একটু দেরীতে পড়বে আরকি।

নন্দীপাড়া গ্রামের ক্ষুদ্র কৃষক মোছাব্বির মিয়া জানান, তিনি এক কের জমি করেছেন। বিদ্যুৎ সংকটের কারণে সময়মতো জমিতে সেচ না পাওয়ায় এবং সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় তার পুরো জমির ফসল লালচে আকার ধারণ করে নষ্ট হওয়ার মতো অবস্থা দেখা দিয়েছিলো। বৃষ্টি হওয়ায় তার জমির ধানগাছগুলো আবার সতেজ হয়ে সবুজ আকার ধারণ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন। শিলাবৃষ্টি বা কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আল্লাহর রহমতে ১৮/২০ মণ ধান গোলায় তুলতে পারবো এবং পরিবারের সবাইকে নিয়ে সারাবছর খেয়ে বাঁচতে পারবো। বৃষ্টি হওয়ায় তিনি দু’হাত তুলে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন।

উল্লেখ্য, হবিগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ৬টি অর্থাৎ বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জ, নবীগঞ্জ, লাখাই, হবিগঞ্জ ও মাধবপুর উপজেলায় বোরোধান চাষাবাদ হয় এই ৬টি উপজেলার অধিকাংশ মানুষ বোরোধানের উপর নির্ভরশীল। এই ৬ উপজেলায় এবছর ১লাখ ২২হাজার ৫শত ৭৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ করা হয়েছে বলে জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।

Development by: webnewsdesign.com