জো-বাইডেন যার পুরো নাম জোসেফ রবিনেট বাইডেন। জন্ম ২০ নভেম্বর ১৯৪২ সালে স্ক্র্যান্টন পেন্সিলভেনিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তার বর্তমান বয়স ৭৮ বছর। বৈবাহিক জীবনে তার প্রথম স্ত্রী নেইলিয়া হান্টর এর সাথে ১৯৬৬ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং ১৯৭২ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মারা গেলেও আকস্মিকভাবে তার তিন সন্তান বিও, হান্টার, নেউমি কে রেখে তিনি মারা যান এবং দ্বিতীয় স্ত্রী জিল জাকবস বাইডেন যিনি ফার্স্ট লেডি হিসেবে অভিষিক্ত হতে চলেছেনহ তারও একটি একটি সন্তান আছে অ্যাশলি বাইডেন।
বর্তমান বিশ্বের একটি সুপরিচিত নাম জো বাইডেন রাজনীতিবিদ পরিচয়ে পরিচিত হলেও তিনি একজন আইনজীবী ও লেখক ও বটে!
যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক পার্টির একজন সদস্য।২০০৯ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ৪৭ তম ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ১৯৭৬ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ডেলাওয়্যারের এর একজন মার্কিন সিনেটরের দায়িত্ব পালন করেছেন। ৪৫ তম রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ২০২০ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে পরাজিত করেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পেকে বিদায় জানিয়ে ৪৬ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিছেন জো-বাইডেন ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির জনপ্রিয় এই নেতা।
ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেনের তর্ক-বিতর্ক সবকিছুর ঊর্ধ্বে রেখে নির্বাচনী ফলাফল মেনে নিতেই হলো জো-বাইডেনের ২৬৪ ও ডোনাল্ড ট্রাম্প ২১৪। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২০ তীব্র উত্তেজনা ও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই তার মধ্য দিয়েই ৫০.৬ শতাংশ জো বাইডেন ও ডোনালট্রাম পেয়েছেন ৪৭.৭ শতাংশ ভোট। তাই নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে আমেরিকার নিয়ম অনুযায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কে পরাজয় স্বীকার করে স্বাগত জানাতে হবে জো-বাইডেনকে।
চার বছর আগে ২০১৭ সালের ২০শে জানুয়ারি নির্বাচিত হয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার রেওয়াজ অনুযায়ী ২০ শে জানুয়ারি ১১ টা ৫৯ মিনিট ৫৯সেকেন্ডে বিদায় নেবেন আগের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আর দুপুর বারোটায় অভিষিক্ত হবেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেন।
বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রের অন্যতম এক রাষ্ট্র আমেরিকা যদিও বিভিন্ন প্রণোদনা ও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আসন গ্রহণের আগেই জো-বাইডেন । বর্তমান অর্থনৈতিক নাজুক অবস্থা থেকে মার্কিনীদের উত্তরণের নানা প্রতিশ্রুতি প্রণোদনা ঘোষণা দিয়েছেন জো-বাইডেন। করোনা টীকাসহ নগদ অর্থ, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যখাতে সকল কেন্দ্রে অনুদান, ক্ষুদ্রঋণ বাস্তবায়ন, বেকার ভাতা, কর্মচারীদের মানসম্মত বেতন, ঘর ভাড়া, গৃহঋণ নিয়েও তিনি অনেক প্যাকেজ দিয়েছে। আসন গ্রহণ করার পর তার এসব প্রতিশ্রুতি পূরণের পালা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি হলেন সেই দেশের সরকার প্রধান ও রাষ্ট্রের প্রধান। একজন মার্কিন নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ার পর তার দায়িত্ব হলো সে দেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রদত্ত কংগ্রেস কর্তৃক লিখিত আইন রাষ্ট্রীয় আইনে সময়োপযোগী প্রয়োগ করা।
সংবিধানের ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিকে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। শুধু তাই নয় তিনি নিজের মত করে একটি উপদেষ্টা ক্যাবিনেট তৈরি করতে পারেন।
সিনেটের আস্থা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রীয় দূত, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ও বিচারক নিয়োগ দিতে পারবেন তিনি। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাকেউ কিছুটা সীমাবদ্ধতা করা হয়েছে যাতে কোন একক ব্যক্তির নিজের বা নিজের দলের নিরঙ্কুশ প্রভাব দেশের উপর বিস্তার লাভ করতে না পারে।
পরিশেষে আমি বলব ২০ শে জানুয়ারি জো বাইডেন-ক্ষমতা গ্রহণের পর বিশ্বশান্তি কামনায় কাজ করে যাবেন। আমি না শুধু আমারা বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে জো বাইডেন কে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই।
শেখর চন্দ্র সরকার
লেখক/সাংবাদিক
Development by: webnewsdesign.com