সাভারে স্ত্রীর সহযোগিতায় কিশোরী শ্যালিকাকে ধর্ষণ ও শিশু অপহরণের অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অপহৃত দুই বছর বয়সের শিশু ঝর্ণা আক্তারকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনি মহল্লার আবুল কালাম আজাদের ভাড়া বাড়ি থেকে ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করে র্যাব সদস্যরা। রোববার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৪ এর সহকারী পুলিশ সুপার সাগর দিপা বিশ্বাস।
গ্রেফতারকৃতরা হলে- ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার পুরন্দপুর গ্রামের মৃত আলী হোসেনে ছেলে মো. সাহেব আলী (৩৪) ও তার স্ত্রী জেসমিন খাতুন (২৫)। ধর্ষণের শিকার হওয়া কিশোরী জেসমিন খাতুনের আপন ছোট বোন এবং উদ্ধার হওয়া শিশুটি তার ভাইয়ের মেয়ে।
এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বড় ভাই মো. রুবেল মিয়া।
র্যাব-৪ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত সাহেব আলীর স্ত্রী অসুস্থ হওয়ায় তার ছোট বোন ভুক্তভোগী কিশোরীকে সিলেট থেকে সাভারে নিয়ে আসে। পরে ভুক্তভোগীর বড় বোন জেসমিন খাতুনের সহযোগিতায় ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শ্যালিকাকে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন সাহেব আলী। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী কিশোরী তার বাবা-মাকে বিষয়টি জানালে তারা তাকে সিলেটে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দম্পতি গত ২০ ডিসেম্বর ষড়যন্ত্র করে ভুক্তভোগীর বড় ভাইয়ের দুই বছরের শিশু কন্যাকে সিলেট থেকে অপহরণ করে সাভারে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন মেয়েকে নিতে আসলে তাদেরকে আটকে রেখে মারধর করে ওই দম্পতি। সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে গিয়ে বিষয়টি র্যাবকে লিখিতভাবে জানায় রুবেল মিয়া।
এ ঘটনায় র্যাব-৪ একটি দল শনিবার রাতে সাভারের ব্যাংক কলোনি এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে এবং ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করে।
র্যাব-৪ এর সহকারী পুলিশ সুপার সাগর দিপা বিশ্বাস জানান, এ বিষয়ে সাভার থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি ভুক্তভোগী কিশোরীর বড় ভাই রুবেল করেছেন। মামলায় ওই দম্পতিকে আসামি করা হয়েছে। আমরা আসামিদের থানায় হস্তান্তর করেছি। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com