স্ত্রীর আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের হুমকি দিলেন সাংবাদিক মিলন

শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ৩:৪৬ অপরাহ্ণ

স্ত্রীর আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের হুমকি দিলেন সাংবাদিক মিলন
apps

আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধা :
গাইবান্ধায় ফুটফুটে দুই সন্তানসহ স্ত্রী কে রেখে দ্বিতীয় বিবাহ করে। প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেয় আনন্দ টেলিভিশনের ষ্টাফ রিপোর্টার ও দৈনিক জনতার জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মিলন খন্দকার। এর আগে তিনি জনৈক্য এক হিন্দু নারীকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে মুসলমান ধর্মে ধর্মান্তারিত করে এ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। সে হিন্দু পরিবারটিও দাবী করে তাদের মেয়েকে ব্ল্যাকমেইল করে বিবাহ করে মিলন খন্দকার ।

এদিকে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে দ্বিতীয় বিবাহসহ স্বামীর হাতে নির্যাতনের অভিযোগ এনে আদালতসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ দাখিল করে মিলনের প্রথম স্ত্রী লাভলী বেগম। ঘর সংসারের আশায় দুইটি সন্তানদের নিয়ে সাংবাদিক নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুড়তে দেখা যায় এই নারীকে। তিনি নারী লোভী লম্পট স্বামী মিলন খন্দকারের বিচার ও শাস্তি দাবী করেন। এমতাবস্থায় বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের চাপে মুখে মিলন খন্দকার নিজের অপরাধ ঢাকতে প্রথম স্ত্রী কে চরিত্রহীনা দাবী করে তার কাছে থাকা প্রথম স্ত্রীর আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের মাধ্যমে সত্যতা তুলে ধরতে চান। এবং প্রকাশ করবেন বলে হুমকি প্রর্দশন করেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিবিড় তথ্য আদান প্রদানে সম্প্রতি গাইবান্ধা জেলার সাংবাদিকদের সমম্বয়ে গঠিত একটি ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ যার নাম সংবাদ সংবাদাতা ও সাংবাদিক এ গ্রুপটিতে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকসহ প্রায় পঞ্চাশের অধিক সংবাদিকদের নিয়ে গড়ে তোলা গ্রুপটিতে মিলন খন্দকারের পারিবারিক বিষয়টি সন্তোষ জনক সমাধানের লক্ষে ওই গ্রুপ ম্যান্সেজারে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। এসময় মিলন খন্দকার তার প্রথম স্ত্রী লাভলী বেগম কে চরিত্রহীনা দাবী তার আপত্তিকর ভিডিও গণযোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল করার হুমকি প্রদান করেন। দেশে যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন লংঘনের সামিল। এ কথা বলার সাহস কোথা থেকে পায় এই সাংবাদিক নাম ধারী মানুষরুপী পশু মিলন খন্দাকার। জেলার সচেতন মহল ও একাধিক গণমাধ্যমকর্মীরা দাবী করেন , মানুষের রুপ হলেও মিলন খন্দকার একজন অমানুষ । তার কথা প্রমাণ করে সে নারী শিশু নির্যাতনের সাথে জড়িত। তার উচিৎ শাস্তি অব্যশই হওয়া প্রয়োজন। তারা আরো মনে করেন এর বিচার না হলে গোটা সাংবাদিক সমাজ কলংঙ্কিত হবে।

মিলনের প্রথম স্ত্রী ভুক্তভোগী লাভলী বেগম জানান, মিলন খন্দকার গাইবান্ধা সদরের মাননীয় এমপি গিনি আপার কাছেও একই কথা বলেছেন তিনিও আমাকে মিলন খন্দাকরের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ প্রদান করেছেন। মিলন খন্দকার তার নিজের অপরাধ ঢাকতে ও আমাকে ঘায়েল করতে খারাপ ভিডিও এডিটিং করে ফেসবুকে ভাইরাল করে সমাজে আমাকে ও আমার পরিবার কে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যদি তাই হয় তবে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মিলন খন্দকারকে গ্রেফতার পুর্বক উক্ত ভিডিও জব্দ করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা কামনা করেন। এছাড়াও তিনি উক্ত বিষয়ে থানা গিয়ে অভিযোগ দাখিল করার কথা ব্যক্ত করেন । তিনি আবারো মিলন খন্দকারের বিচার ও শাস্তি দাবী করেন।

Development by: webnewsdesign.com