আধুনিক প্রযুক্তির এই যুগে আমরা কমবেশি সবাই ব্যস্ত। তবে এই শত ব্যস্ততার মাঝেও সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার আমাদের জীবনে আলাদা একটা জায়গা দখল করে নিয়েছে। কেননা কেবল এই মাধ্যমেই আমরা সবার সঙ্গে যোগাযোগ অক্ষুণ্ন রাখতে পারি। এটি আমাদের অনেক পুরনো স্মৃতি ফিরিয়ে দেয়, সবাইকে নিয়ে আসে আরও কাছাকাছি। কিন্তু জানেন কী, এই সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে বহু সম্পর্কে ফাটলও দেখা দেয়।
বৈবাহিক সম্পর্ক, পারিবারিক জীবন, লাভ লাইফ, বন্ধু-বান্ধব, সব সম্পর্কেই বাড়ছে দূরত্ব। এতে করে মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠতাও শেষ হয়ে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে এই সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই জন্ম নেয় সন্দেহ। পরে এ নিয়েই শুরু হয় বাদ-বিবাদ। এমনকি এর কারণে সম্পর্কে বিচ্ছেদও ঘটে। তাই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি।
ভারতের লাইফস্টাইল বিষয়ক সংবাদমাধ্যম বোল্ডস্কাই-এর এক প্রতিবেদনে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে কিছু নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। সেগুলো নিম্নরূপ-
সোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহার বন্ধ করুন
অবসর সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতেই পারেন। কিন্তু আজকাল অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটান। দিনের বেশির ভাগ সময়ই কেটে যায় তাদের এই মাধ্যমে। কাজেই আপনার এই অভ্যাস সঙ্গীর ভালো না লাগাই স্বাভাবিক। তিনি হয়তো সারা দিন আপনাকে অনলাইন দেখছেন। এখান থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। তাই যতটা সম্ভব এই অভ্যাস ত্যাগ করার চেষ্টা করুন।
সঙ্গীর পোস্টে লাইক ও কমেন্ট করুন
বন্ধু-বান্ধব থেকে আত্মীয়-স্বজন, সবার পোস্টেই আপনি লাইক ও কমেন্ট করেন। কিন্তু আপনার ভালোবাসার মানুষের কোনো পোস্ট দেখলেই তা এড়িয়ে যান। এমনটা করলে চলবে না। আপনার সঙ্গী সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো কিছু পোস্ট করলে তাতেও লাইক, কমেন্ট করুন। তবেই আপনাদের মধ্যে বাড়বে ঘনিষ্ঠতা, সম্পর্ক হবে দৃঢ়।
সঙ্গীর সঙ্গে ছবি দিন
সোশ্যাল মিডিয়ায় মাঝেমধ্যে আপনার সঙ্গীর সঙ্গে তোলা ফটো শেয়ার করুন। সুন্দর ক্যাপশন দিন। তবেই আপনার ভালোবাসার মানুষ খুশি হবে। তিনি বুঝবেন যে আপনি তার খেয়াল রাখেন, তার কথা চিন্তা করেন এবং তাকে অগ্রাধিকার দেন।
সঙ্গীর পোস্ট দেখে হিংসা করবেন না
সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার সঙ্গীর করা পোস্টে লাইক বা কোনো কমেন্ট দেখে ঈর্ষা করবেন না। এই বিষয়টিকে খুব সহজভাবে দেখুন। আপনি এই বিষয়গুলো যতটা সহজ করে দেখবেন, সম্পর্কে ঝামেলার আশঙ্কা থাকবে ঠিক ততটাই কম।
মুখোমুখি কথা বলুন
ফোনে কথা বলা বা অনলাইন কমিউনিকেশনে অনেক সময় মনের ভাব ঠিকমতো প্রকাশ করা যায় না, যার ফলে ভুল বোঝাবুঝি আরও বাড়ে। সেখান থেকেই বিতর্কের জন্ম হয়। তাই সঙ্গীর সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলুন। এতে আপনারা একে অপরের আবেগ, অনুভূতি বুঝতে সক্ষম হবেন।
গোপনীয়তা বজায় রাখুন
সোশ্যাল মিডিয়া মানুষকে ব্যক্তিগত তথ্য এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে উৎসাহিত করে। অনেক সময় প্রেমিক-প্রেমিকারা না বুঝেই নিজেদের ব্যক্তিগত বিষয় বা অন্তরঙ্গ মুহূর্তগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে ফেলেন যা একেবারেই উচিত নয়। গোপন বিষয় সর্বদা নিজেদের মধ্যে রাখা উচিত। গোপনীয়তার অভাবেই একে অপরের প্রতি বিশ্বাস ভেঙে যেতে পারে।
Development by: webnewsdesign.com