সুনামগঞ্জে সপ্তাহের মধ্যেই ভেঙে গেলো সেচ প্রকল্পের দেয়াল

বুধবার, ০৬ জানুয়ারি ২০২১ | ৩:৪৭ অপরাহ্ণ

সুনামগঞ্জে সপ্তাহের মধ্যেই ভেঙে গেলো সেচ প্রকল্পের দেয়াল
apps

চালু হওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় ভেঙে গেলো বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুরের মধ্যবর্তী এলাকায় বিএডিসির তৈরি করা বোরো ধানের চাষাবাদের সেচ প্রকল্পের পানির ট্যাংকি। এতে হাওরপাড়ের ১২টি গ্রামের কৃষকদের বেরো চাষাবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) বিকালে বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর উপজেলার আঙ্গারুলি হাওর সেচ প্রকল্পের পানির ট্যাংকির দেয়াল ভেঙে পড়ায় এই অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এ ঘটনায় ঠিকাদারের দায়িত্বে অবহেলা ও নিম্নমানের কাজকেই দায়ী করেছেন এলাকাবাসী।

প্রকল্প বাস্তবায়নকারী বিএডিসি কর্মকর্তারা বলেছেন, এই প্রকল্প বাংলাদেশে প্রথম। পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা এই প্রকল্পের কারণে সেচ কার্যক্রম বন্ধ থাকবে না। সংশ্লিষ্ট কৃষকদের চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।

জানা যায়, সম্প্রতি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে আঙ্গারুলি হাওরের বোরো জমিতে পানি সেচ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন (বিএডিসি) নতুন পদ্ধতিতে সেচ প্রকল্পের কাজ শুরু করে। ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এই কাজ করে সুনামগঞ্জের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আকিল এন্টারপ্রাইজ। নির্মিত এই প্রকল্পের মাধ্যমে আঙ্গারুলি হাওরের পশ্চিম পাড়ে বালিজুরি এলাকায় পানি সেচ কাজ শুরু হয়েছিল এক সপ্তাহ আগে। প্রকল্পটির মাধ্যমে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা ও তাহিরপুর উপজেলার বারোটি গ্রামের কৃষকদের বোরো ধান চাষাবাদের আওতায় আনতে উদ্যোগ নেওয়া হয়।

সুনামগঞ্জ বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ মঙ্গলবার বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ‘ট্যাংকির কোনও রডে হুক করা না থাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’

সুনামগঞ্জ বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী খালেদুজ্জামান বলেন, কাজে কোনও অনিয়ম হয়নি। এই ধরনের সেচ প্রকল্প বাংলাদেশে এটাই প্রথম। পরীক্ষামূলকভাবে এক সপ্তাহ হয় এটি চালু করা হয়েছে। এখনও এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়নি। পানির চাপ কেমন হবে সেটি বোঝা যায়নি, সেজন্য এমন হয়েছে। পরের সেচ প্রকল্পগুলোতে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে না। এ ঘটনার জন্য সেচ কার্যক্রম বন্ধ থাকবে না। আমরা একাধিক মোটরের ব্যবস্থা করে কৃষকদের চাষাবাদের ব্যবস্থা করে দেব। দ্রুত ভেঙে যাওয়া প্রকল্পটিও মেরামত করা হবে।

Development by: webnewsdesign.com