সিলেটের মুরারি চাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রবাস প্রাঙ্গনে গণধর্ষণকাণ্ড শেষে চাঁদাবাজির ঘটনায় দায়ের মামলার অভিযোগ গঠনের (চার্জগঠন) দিন ধার্য ছিল মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর)। তবে আদালতে মামলার চাপ বেশি থাকায় বিচারক অভিযোগ গঠন করেননি।
এদিকে, মঙ্গলবার তিন আসামি চাঁদাবাজির ঘটনায় অব্যাহতি চেয়ে নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণকাণ্ডের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও চাঁদাবাজি মামলার বিচার একই আদালতে হচ্ছে।
এ মামলায় মঙ্গলবার অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য থাকলেও আদালতে মামলার কার্যক্রম বেশি থাকায় অভিযোগ গঠনের তারিখ পিছিয়েছেন বিচারক মো. মোহিতুল হক । এছাড়া মামলা থেকে অব্যহতি চেয়ে তিনটি আবেদন জমা পড়েছে আদালতে। তবে পরবর্তী তারিখ এখনো জানা হয়নি।
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে এক নববধূকে দলবেঁধে গণধর্ষণ ঘটনার এক বছর পূর্ণ হয়েছে গত ২৫ সেপ্টেম্বর। গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ছাত্রলীগের কর্মীদের সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ওই নববধূ।
সারাদেশে তীব্র সমালোচনার ঝড় তোলা ওই ঘটনায় পুলিশ গত বছরের ৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে। তবে বিভিন্ন কারণে এগোয়নি মামলার বিচারকাজ।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ওই ঘটনায় মামলা হয় দুটি। এর একটি গণধর্ষণের, অপরটি ধর্ষিতার স্বামীর কাছে চাঁদা দাবি ও ছিনতাই এবং অস্ত্র আইনের। সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন ধর্ষণ মামলাটি। অন্যদিকে অপর মামলাটি চলছে সিলেট মহানগর হাকিম আদালতে।
সর্বশেষ- মামলা দুটির বিচারকাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর সিদ্ধান্তের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন বাদীপক্ষ।
Development by: webnewsdesign.com