সিলেট নগরীর নাইওরপুল এলাকার দুইটি পোষা পাখির দোকান থেকে ৪ প্রজাতির ২০টি দেশীয় পাখি উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত পাখির মধ্যে ৮টি কালিম, ৩টি ডাহুক, ৭টি ঘুঘু ও ২টি শালিক রয়েছে। সিলেট সিটি কর্পোরেশনে ও বন বিভাগের যৌথ অভিযানে রবিবার (১৫ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে চারটায় নগরীর নাইওরপুল এলাকার পোষা প্রাণি বিক্রয়ের দোকানে অভিযানকালে বিক্রয় নিষিদ্ধ এই পাখিগুলো পাওয়া যায়। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মতিউর রহমান খান, সুনন্দা রায় ও বন বিভাগের রেঞ্জ সহযোগী শফিকুর ইসলাম অভিযানে অংশগ্রহন করেন। এ সময় বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেট জেলার সাধারন সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।

উদ্ধারকৃত পাখিগুলো পরে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) পাখিগুলো অবমুক্ত করা হবে। পাখি উদ্ধারের বিষয়ে বন্যপ্রানী ব্যাবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বাপা সিলেট শাখার নেতাকর্মীদের নজরদারীতে সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় শতাধিক পাখি উদ্ধার করা হয়েছে। সিলেট বিভাগে দেশীয় ও পরিযায়ী পাখি শিকার ও ক্রয়-বিক্রয় বন্ধে পরিবেশকর্মীদের এই চেষ্টা অনুকরণিয়।

উল্লেক্ষ্য যে, সিলেট বাপা’র দেশীয় ও পরিযায়ী পাখি শিকার ও বিক্রি বন্ধে চলা ধারাবাহিক কর্মসুচির অংশ হিসাবে বাপা’র একটি দল পরিচয় গোপন রেখে নাইওরপুল এলাকার পাখি বিক্রির এই দোকানগুলো পরিদর্শন করেন। এ সময় বাপা’র কর্মীরা দেখেন লাভ এন্ড হব্বি ওয়ার্ল্ড নামের দোকানে ৮টি কালিম ও ৩টি ডাহুক পাখি বিক্রির উদ্দেশ্যে খাঁচাবন্দী করে রাখা। পরে বাপা সিলেটের সাধারন সম্পাদক আব্দুল করিম কিম পাখিগুলো উদ্ধারের জন্য বন্যপ্রানী ব্যাবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করেন।

এরই প্রেক্ষিতে বিকাল সাড়ে চারটায় নাইওরপুল এলাকার এই দোকানগুলোতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় লাভ এন্ড হব্বি ওয়ার্ল্ড থেকে ৮টি কালিম ও ৩টি ডাহুক পাখি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া অন্য একটি দোকান থেকে ৭টি ঘুঘু ও ২টি শালিক উদ্ধার করা হয়। বিপন্নপায় কালিম ও ডাহুক পাখি বিক্রির অপরাধে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট লাভ এন্ড হব্বি ওয়ার্ল্ডকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।