সিলেটে ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত মানুষ। আবহাওয়ার পারদ নামতেই ঠান্ডাজ্বর, গলাব্যথা, মাথাব্যথায় আক্রান্তের হার বেড়েছে। এ ধরনের রোগীদের করোনা টেস্ট করালেই পজিটিভ আসছে। কিন্তু অনীহার কারণে টেস্ট করাতে যাচ্ছেন না অধিকাংশ মানুষ। উপসর্গ থাকলেও শনাক্ত না হওয়ায় সিলেটে করোনা আরো বেশি ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতে সিলেট সিটি করপোরেশনসহ আশপাশের উপজেলা ও গ্রামাঞ্চলে এখন ঘরে ঘরে দেখা দিয়েছে জ্বর, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথার মতো উপসর্গ। এর ফলে কোনটি করোনা আর কোনটি সাধারণ শীত মৌসুমি উপসর্গ তা এখন ঠিক করে বুঝে উঠতে পারছেন না অনেকেই। পরিস্থিতি যখন জটিল হচ্ছে তখন রোগী নিয়ে অনেকেই দৌঁড়াচ্ছেন হাসপাতালে। সেখানে উপসর্গ নিয়ে ঝরছে প্রাণ।
সিলেটের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) হিমাংশু লাল রয় বলেন, এখন করোনার প্রকূপ ব্যাপক হারে বাড়ছে। ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি-কাশির রোগী থাকলে তাদের আর অপেক্ষা করার সময় নেই। দ্রুত করোনা পরীক্ষা করা প্রয়োজন। একপ্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা জ্বর-সর্দি-কাশিতে ভুগছেন তাদের পরীক্ষা করলেই করোনা পজিটিভ আসছে।
হিমাংশু লাল রয় বলেন, যাদের ঘরে এমন রোগী আছেন তারা দ্রুত হাসপাতালে এসে করোনা পরীক্ষা করান। আপনি অতি সাহসি হয়ে ভাবছেন হয়তো আপনি করোনা পজিটিভ নয়; যদি আপনি পজিটিভ হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার পরিবারের বয়ষ্ক ও শিশুদের জীবন ঝুঁকির কারণ হতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, উপসর্গ যদি থাকে আর পরীক্ষা না করান, তাহলে শুধু পরিবার নয়; একজন থেকে অনেক অনেক লোক আক্রান্ত হতে পারনে করোনায়। যা সামাল দেয়া কঠিন হবে।
সিলেটের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ পরিচালক কলেন, করোনার লক্ষণ দেখে যারা পরীক্ষা করাবেন না তারা তাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য- বিশেষ করে সার্জারির রোগী, হার্টেররোগী, কিডনি রোগী, ডাইবেটিস রোগীসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্তদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবেন। যদি লক্ষণ থাকে, আর টেস্ট করে আপনি পজিটিভ হন, তাহলে অন্তত আপনার কাছ থেকে অন্যরা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে।
এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, সিলেটের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবার আরও দুজন মারা গেছেন। আর শনাক্তের সংখ্যা এখন ক্রমেই বাড়ছে। একদিনে ৪৪৫ জন করোনাক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টার মধ্যে সিলেটে করোনাক্রান্ত দুই ব্যক্তি মারা গেছেন। তারা উভয়ই সিলেট জেলার বাসিন্দা।
Development by: webnewsdesign.com