সিলেটের ২ লাখ শিক্ষার্থী করোনার টিকার অপেক্ষায়

সোমবার, ০১ নভেম্বর ২০২১ | ৩:৫৫ অপরাহ্ণ

সিলেটের ২ লাখ শিক্ষার্থী করোনার টিকার অপেক্ষায়
apps

দেশে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে আজ সোমবার। রাজধানী ঢাকার একটি কেন্দ্রে আজ টিকা দেওয়া হচ্ছে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে আটটি কেন্দ্রে দেওয়া হবে টিকা।

এই টিকার জন্য সিলেটের প্রায় ২ লাখ শিক্ষার্থী এখন অপেক্ষায় আছেন। টিকার জন্য এসব শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে জেলা শিক্ষা অফিস।

সিলেট জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদানে সম্প্রতি তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর জেলা শিক্ষা অফিস বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে।

এখন অবধি ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ১ লাখ ৯২ হাজার ১৫৯ জন শিক্ষার্থীর তথ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। তন্মধ্যে স্কুলশিক্ষার্থী ১ লাখ ৬২ হাজার ৮৬৯ জন। বাকি ২৯ হাজার ২৯০ জন মাদরাসার শিক্ষার্থী।

তবে মন্ত্রণালয়ে তথ্য প্রেরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সিলেট জেলা শিক্ষা অফিসার এ এসএম আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হচ্ছে। এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয় যেভাবে নির্দেশনা দেবে আমরা সেভাবে কাজ করবো। তথ্য প্রেরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা পর্যায়ক্রমে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করে প্রেরণ করবো।’

তথ্য প্রেরণ করা হলেও এসব শিক্ষার্থীদের ঠিক কবে নাগাদ টিকা প্রদান করা হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলছিলেন, ‘সিলেটের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ সোমবার থেকে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া শুরু হলেও সিলেটের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের জানানো হয়নি। আমরা আশা করছি, খুব শিগগিরই সিলেটেও টিকা দেওয়া শুরু হতে পারে।’

জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এই টিকা সংরক্ষণ করতে হয় হিমাঙ্কের নিচে মাইনাস ৯০ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। ফলে এই টিকা সংরক্ষণে আল্ট্রা কোল্ড ফ্রিজারের প্রয়োজন হয়। আর পরিবহনে প্রয়োজন হয় থার্মাল শিপিং কনটেইনার বা আল্ট্রা ফ্রিজার ভ্যান।

মূলত এই বিষয়টিই শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদানে সমস্যার সৃষ্টি করছে। কারণ, ঢাকা থেকে জেলা শহরগুলোতে টিকা পরিবহন, সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা থাকার বিষয় এখানে জড়িত। বিশেষ করে যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করা হবে, সেখানে বাধ্যতামূলকভাবে এসি রুম থাকতে হবে। সংশ্লিষ্টরা এসব বিষয়ে এখন কাজ করছেন বলে জানা গেছে।

Development by: webnewsdesign.com