সিলেট অফিস
সিলেটের পর্যটন খাতকে বিকশিত করতে মোবাইল অ্যাপস চালু করা হবে বলে জানান সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র কনফারেন্স হলে চেম্বারের নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এমন কথা জানান।
মতবিনিময় সভায় বিভাগীয় কমিশনার জানান, সিলেট হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগের ল্েয প্রকৃত বিনিয়োগকারীদের নিয়ে সিলেট চেম্বারের সাথে একটি সভা আয়োজন করা হবে। এছাড়াও সিলেট-চট্টগ্রাম রেললাইন সংস্কারে তিনি উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
একইসাথে তিনি সিলেটের ব্যবসায়ীদের সমস্যাবলী সমাধানে পরিবেশ অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিকার, বিএসটিআই ও ভ্যাট-ট্যাক্স বিভাগের সাথে সমন্বয় করে একটি যৌথসভা আয়োজন করবেন বলেও জানান।
সিলেট চেম্বারের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েবের সভাপতিত্বে সভায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যবসায়ীদের অবদান অনস্বীকার্য। ব্যবসায়ীদের প্রদানকৃত রাজস্বের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। তাই ব্যবসায়ীদের সুবিধা-অসুবিধার প্রতি ল্য রাখা প্রশাসনের নৈতিক দায়িত্ব।
তিনি আরও বলেন, গোয়াইনঘাটে নতুন স্টোন ক্রাশিং জোন করার জন্য ১০০ একর জমি ও অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়নকারী কর্তৃপ নিয়ে কিছুটা জটিলতা থাকায় কাজটি শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে। এ সময় তিনি সিলেট চেম্বারকে এ ব্যাপারে নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার আহবান জানান।
পরে তিনি বলেন, আয়কর সংক্রান্ত ব্যবসায়ীদের যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারের প থেকে ৩৩৩ হটলাইন চালু করা হয়েছে। এ নম্বরে ডায়াল করে ব্যবসায়ীরা আয়কর সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব বলেন, সিলেট চেম্বার অব কমার্স ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরণের পাশাপাশি সরকারী উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ ও ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নে সরকারকে সহযোগিতা করে থাকে। আইটি খাতে সিলেটকে এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্ক স্থাপনের জন্য তিনি বর্তমান সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং সিলেটে বিনিয়োগকে ত্বরান্বিত করতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা জরুরী বলে মন্তব্য করেন।
সিলেট-আখাউড়া রেলপথে উদ্বেগজনক হারে দুর্ঘটনা বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৭৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ রেললাইনে নেই পর্যাপ্ত হুক, ফিস প্লেট এবং কিপ। অধিকাংশ কাঠের স্লিপারই নষ্ট। যার জন্য ট্রেন লাইনচ্যুতি ও দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিভাগীয় কমিশনার মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
তিনি সিলেটের টুরিস্ট স্পটগুলোতে কৃত্রিম বিনোদনের ব্যবস্থা গ্রহণ, নিরাপত্তা জোরদারকরণ, স্পটগুলোতে মেডিকেল সেন্টার স্থাপন, রিমোট এলাকার পর্যটকদের জন্য পর্যাপ্ত পরিবহন ব্যবস্থা করা সহ বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন। তিনি পরিবেশ অধিদপ্তর, কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিকার সহ বিভিন্ন সরকারী সংস্থার সাথে ব্যবসায়ীদের জটিলতার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এ ব্যাপারে বিভাগীয় কমিশনার মহোদয়ের সহযোগিতা কামনা করেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি চন্দন সাহা, সহ সভাপতি তাহমিন আহমদ, মো. এমদাদ হোসেন, মো. সাহিদুর রহমান, পিন্টু চক্রবর্তী, আব্দুর রহমান, ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, মো. আতিক হোসেন, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী, আমিনুজ্জামান জোয়াহির, বিভাগীয় কমিশনারের একান্ত সচিব গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
Development by: webnewsdesign.com