ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র ও সমর্থিত কাউন্সিলরদের পক্ষে জোরদারভাবে মাঠে নামবেন ২০ দলীয় জোটের নেতারা।
বৃহস্পতিবার বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২০ দলের বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানান জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে মিরপুরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থীর নেতৃত্বে তার ওপরে হামলা করেছে। ওই ঘটনায় মামলা করতে চাইলে দুদিনেও মামলা নেয়া হয়নি। ২০ দল এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। ২০ দল মনে করে আসন্ন সিটি নির্বাচন শুধু মেয়র আর কাউন্সিলরের নির্বাচিত করার ভোট নয়। এই নির্বাচন দেশের গণতন্ত্র মুক্তি ও খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের অংশ।
বৈঠকে গত দুইদিনে বিএসএফ কর্তৃক ৫ জন বাংলাদেশি হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, সরকারের প্রতিবাদের ভাষা যথেষ্ট শক্ত না হওয়ায় এ হত্যার ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কল্যাণপার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিমের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, জাগপার লুৎফর রহমান, লেবার পার্টির ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, খেলাফত মজলিসের আহমেদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ ন্যাপের এমএন শাওন সাদেকী, এনডিপির ক্বারী আবু তাহের, ডিএল-এর সাইফুদ্দিন মনি, ন্যাপ ভাসানীর অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা আবদুল করিম, সাম্যবাদী দলের কমরেড ডা. সৈয়দ নুরুল ইসলাম, পিপলস লীগের সৈয়দ মাহবুব হোসেন।
বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান বলেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতারা সিটি নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ না নিলেও স্থানীয় নেতারা আমাদের প্রার্থীদের সঙ্গে আছেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জোটের শরিকদের পক্ষ থেকে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর পক্ষে আরও জোরালো প্রচার চালানোর সিদ্ধান্ত হয়। যার যার অবস্থান থেকে গণসংযোগ করা হবে।
জামায়াত প্রসঙ্গে বৈঠকে এক নেতা বলেন, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জামায়াত। তাই নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে দলটি অংশ নেবে না।
Development by: webnewsdesign.com