করোনা মহামারি রুখতে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল দেশ। এবার ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুরাও যুক্ত হচ্ছে কোভিট টিকার আওতায়। উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতায় রাজধানীর একটি স্কুলের ১৬ জন শিক্ষার্থীকে দেয়া হয় ফাইজারের বিশেষ টিকা।স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ২৫ তারিখ থেকে সিটি করপোরেশন এলাকায় এবং পরে সারা দেশে বিস্তৃত হবে এ কার্যক্রম।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনা টিকা কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান তিনি।একই অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে টিকাদান কর্মসূচিতে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী ৯৮ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রথম ডোজ ও ৮৩ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে। শিক্ষা কার্যক্রম যেন বন্ধ বা ব্যাহত না হয় সে লক্ষ্যেই ৫-১১ বছর বয়সীদের টিকাদান করা হচ্ছে। আর কখনোই যাতে শিক্ষা কার্যক্রম কিংবা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে না হয় সে জন্য সবাইকেই টিকার আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন। সে অনুসারে কাজ করা হচ্ছে। আমাদের এখনো স্বাস্থ্য সচেতন থাকা প্রয়োজন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের (প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের) আবুল বাশার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পর্যবেক্ষণমূলক টিকা কর্মসূচি শুরু হয়। এ কর্মসূচিতে টিকা নিতে শিশুদের ভয়হীন এবং খুবই উচ্ছ্বসিত দেখা গেছে। বিদ্যালয়টির শিক্ষক ও অভিভাবকরা জানান, শিশুদের এ টিকা সবার আগে দিতে পেরে ভালো লাগছে।আবুল বাশার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শ্যামলী রানী মালাকার জানান, আমাদের বিদ্যালয়কে প্রথম ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য নির্বাচন করায় আমি খুবই খুশি। আমাদের প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১৬ জন শিক্ষার্থী টিকা নিতে এসেছে। শিশুরা সামাজিক দূরত্ব মানছে না। এতে তাদের জন্যই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন করোনা টিকা। তারা খাওয়া-দাওয়া ও খেলাধুলার সময় একসঙ্গেই থাকে। এতে তাদের জন্য সবচেয়ে উপকারী হবে করোনা টিকা।
কর্মসূচির পরিচালক শামছুল হক জানান, বাংলাদেশে বর্তমানে শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা ফাইজারের করোনা টিকা মজুদ আছে ৩০ লাখ। এ মাসের ২৮ তারিখের মধ্যে আরও ৭০ লাখ টিকা আমাদের হাতে আসবে। আমরা একসঙ্গে অনেক বেশি করোনা টিকা আনব না। টিকার চাহিদা দেখেই টিকা আনা হবে।২৫ আগস্ট থেকে শুরু হবে শিশুদের প্রথম ডোজের টিকা কার্যক্রম। এর দুই মাস পর দেয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি রাজেন্দ্র বোহরা, ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট প্রমুখ।
Development by: webnewsdesign.com