সারাবিশ্বে হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০০ কোটি ছাড়াল। ফেসবুকের মালিকানাধীন জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ায় বলা হয়েছে, ‘এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন’-এর মাধ্যমে দুপ্রান্তের যোগাযোগকে অত্যন্ত নিরাপদ রেখেও তাকে কী করে অত্যন্ত সহজ করা যায়, তা দেখিয়ে দিয়েছে তারা।
সংস্থার তরফে আরও বলা হয়, ব্যবহারকারীর ব্যক্তি-গোপনীয়তাকে অটূট রাখতে বিশ্বের বড় বড় নিরাপত্তা-সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হয়। একইসঙ্গে, এই মাধ্যমের অপব্যবহার রুখতে, গ্রাহককে আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ দিতে এবং কোনও সমস্যা হলে তা রিপোর্ট করা থেকে শুরু করে সমাধান- এসব কিছুর জন্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করেছে হোয়াটসঅ্যাপ।
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে হোয়াটসঅ্যাপকে কিনে নেয় ফেসবুক– এই শর্তে যে, প্রযুক্তিগতভাবে স্বাধীন থাকবে হোয়াটসঅ্যাপ। দীর্ঘদিন ধরেই ফেসবুক চেষ্টা চালাচ্ছে মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম সহ নিজেদের সবকটি যোগাযোগ পরিষেবাকে একসুতোয় বাঁধতে। এখন দেখার, হোয়াটসঅ্যাপও প্রথম দুটির মতো বিজ্ঞাপন-নির্ভর হয়ে পড়ে কি না।
আগের বছর নভেম্বরে ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপে একটি ফিচার চালু করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। ফিচারটির মাধ্যমে ‘মোবাইল স্টোরফ্রন্টে’ ছবি ও দামসহ নিজেদের পণ্য প্রদর্শন করতে পারে ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলো।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে ইয়াহুর সাবেক কর্মী ব্রায়ান অ্যাক্টন ও জান কউম মিলে হোয়াটসঅ্যাপ তৈরি করেন। সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ কেনার সময় ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ জানান, প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ডাউনলোড করছেন এবং এই অ্যাপটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
Development by: webnewsdesign.com