সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক সাংবাদিকদের

রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ৬:১২ অপরাহ্ণ

সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক সাংবাদিকদের
apps

সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলবের প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন সংগঠন। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর দেশের সব প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভের ডাক দেয়া হয়েছে।

গণমাধ্যম ও সরকারের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করতেই এটা করা হয়েছে অভিযোগ করে কর্মসূচিতে বলা হয়, এর সন্তোষজনক সমাধান না হলে আন্দোলন চলবে।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খানসহ ১১ সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, বিএফআইইউ।

অন্য যাদের হিসাব দিতে বলা হয়েছে, তারা হলেন: বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, বিএফইউজের সভাপতি মোল্লা জালাল, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মজিদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান।

আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি, ট্রানজেকশন প্রোফাইল, শুরু থেকে এখন পর্যন্ত লেনদেনের বিবরণী উল্লেখ করে এই প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে।

গত বুধবার সংবাদ সম্মেলনে করে এই ১১ নেতা বলেন, সাংবাদিকদের মধ্যে ভয়ভীতি ছড়ানোর কৌশল হতে পারে এই আদেশ। সেদিনই রোববার মানববন্ধনের ডাক দেয়া হয়।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচিতে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল বলেন, ‘যেভাবে হিসাব চাওয়া হয়েছে তা নজিরবিহীন। আমরা রাষ্ট্রের কাছে এর ব্যাখা চাই। এর নিরসন চাই। উৎকণ্ঠা দূর করতে হবে।’

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘একটি গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সরকার ও গণমাধ্যমকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে।

‘কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের তদন্ত হতেই পারে। কিন্তু সাংবাদিকতা পেশায় প্রতিষ্ঠিত সংগঠনসমূহের নির্বাচিত শীর্ষ নেতাদের নামে ঢালাওভাবে এ ধরনের পদক্ষেপ উদ্দেশ্যমূলক বলে আমরা মনে করি। নির্বাচিত শীর্ষ নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলবের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সব সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও সাংবাদিকতা পেশাকে জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে।’

এই আদেশে গণমাধ্যমকর্মীদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো কী, তা সুস্পষ্ট জানাতে হবে। নানাভাবে আমাদের চরিত্র ক্ষুণ্ন হচ্ছে। কিন্তু সুনাম ক্ষুণ্ন করবেন, এই অধিকার আপনাদের দেয়নি কেউ।’

তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের রাস্তায় দাঁড়ানোর কথা নয়। কিন্তু আজ তাদের রাস্তায় দাঁড়াতে হচ্ছে। একটি ভুল বার্তা যাচ্ছে বিশ্বে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরকে উদ্দেশ করে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘এই চিঠি ইস্যু হওয়ার আগে আপনার কাছে গেছে। আপনি কি এটা দেখেননি?’

Development by: webnewsdesign.com