সাজার মেয়াদ শেষ হলেও বন্দী জীবন কাটাচ্ছেন ভারতীয় ৫ নাগরিক

সোমবার, ২২ আগস্ট ২০২২ | ৫:১১ অপরাহ্ণ

সাজার মেয়াদ শেষ হলেও বন্দী জীবন কাটাচ্ছেন ভারতীয় ৫ নাগরিক
apps

বিভিন্ন অপরাধে সাজা ভোগের মেয়াদ শেষ হলেও রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি জীবন কাটাচ্ছেন ভারতীয় ৫ নাগরিক।নানা অপরাধের দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগের পরেও বন্দী হস্তান্তরের জটিলতায় মুক্তি মিলছে না তাদের। ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানানো হলেও তাদের থেকে আসামী পুশব্যাকের বিষয়ে ক্লিয়ারেন্স না পাওয়ায় মেয়াদ শেষেও বন্দি থাকতে হচ্ছে ৫ ভারতীয় নাগরিকদের।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও মাদক চোরাচালানের অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে রাজশাহী কারাগারে বন্দি রয়েছেন তারা। ইতিমধ্যে তাদের সাজার মেয়াদ শেষ হলেও জেলের ঘানি টানতে হচ্ছে এখনও। বিষয়টি রাজশাহী কারা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, তাদের বিষয়ে প্রসেস চলছে। ইতমধ্যে একজনের ব্যাপানে অনুমতি মিলেছে। শিগগিরই তাকে মুক্তি দেওয়া হবে। অন্যরাও প্রক্রিয়া শেষে মুক্তি পাবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশের বর্ডার লাইনে অবস্থিত কারাগারে প্রায় তিন শতাধিক ভারতীয় বন্দি রয়েছে।রাজশাহীতে ৫ জনের সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার বিষয় নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভারতীয় বন্দীর বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসকে জানালেও কোন সমাধান মেলেনি। তবে কারা কর্তৃপক্ষ ওইসব দূতাবাসসহ স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয় সঙ্গে নিয়মিত চিঠি চালাচালি করছে। ইতিমধ্যে একজনের ব্যাপারে মুক্তির অনুমতি মিলেছে। যে কোনো দিন তাকে প্রক্রিয়া মেনে মুক্তি দেওয়া হবে।

জানা যায়, অবৈধ অনুৃপ্রবেশের দায়ে ২০১৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ভারতের নাগরিক সাবরুদ্দিনকে তিন মাসের কারাদন্ড দিয়ে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। তার সাজার মেয়াদ শেষ হয় একই বছরের ৮ ডিসেম্বরে, এছাড়াও একই অপরাধে ইসমাইল শেখ নামের এক ভারতীয়কে ১ মাস ১৫ দিনের কারাদন্ড দেয়া হয় ২০১৯ এর ১১ আগস্ট, মাদক ও চোরাচালান মামলায় সেন্টু শেখকে ৩৩ বছর কারাদন্ড দেয়া হয় ১৯৯৫ সালের ৮ ডিসেম্বর।তার সাজাও মেয়াদও শেষ হয় ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও বছরের পর বছর তারা বন্দীদশা থেকে মুক্তি হতে পারছেন না। তারা এখনও রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রত্যাবাসন প্রত্যাশী হিসেবে বন্দি জীবন কাটাচ্ছেন।

এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, যারা ভারতীয় বন্দী রয়েছে তাদের নাম ঠিকানা যেগুলো আমাদের দিয়েছে সেটি মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। সেখান থেকে ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে ওই দেশের সরকারের কাছে তাদের সঠিক পরিচয় বা আদৌ তারা ওই দেশের নাগরিক কিনা তা যতদিন না সঠিক তথ্য দেয় ততদিন পর্যন্ত তাদেরকে এখানে রাখতে হচ্ছে।তবে ভারতীয় বন্দীর বিষয়ে রাজশাহীর সুশাসন বিশ্লেষক সুব্রত কুমার পাল বলেন, দুই দেশের মধ্যে যদি সুসম্পর্ক যোরদার করা না যায় তাহলে এ সংকটের সমাধান ঘটবেনা। এক্ষেত্রে দুই দেশের কুটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

Development by: webnewsdesign.com