সরিষা তেলের রহস্যভরা উপকারিতা

শনিবার, ০৬ আগস্ট ২০২২ | ৩:২২ অপরাহ্ণ

সরিষা তেলের রহস্যভরা উপকারিতা
apps

রান্নার কাজে কিংবা ত্বক ও চুলের যত্নে সমানভাবে কার্যকর এই তেল। উপকারী এই তেলের অপকারিতা নেই বললেই চলে। বলছি, সরিষা তেলের কথা। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রসহ আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানও এ বিষয়ে একমত।বাজারে সয়াবিন তেলের দাম চওড়া হওয়ায় তা প্রায় সরিষা তেলের দামকেই স্পর্শ করে ফেলেছে। তাই রান্নায় সয়াবিন তেলের পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন পুষ্টিগুণে উপকারী সরিষার তেল।

সরিষার তেলে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর উপাদান। এই তেলে স্যাচুরেটেডের তুলনায় আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। এই আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটই আমাদের শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী।চিকিৎসকরা বলছেন, এই আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পাশাপাশি সিএইচডির ঝুঁকি কমাতেও কার্যকরী।যারা ওজন কমাতে চান, তারা রান্নায় অবশ্যই এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। কারণ, রান্নায় এই তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে তা ওজন কমাতে দারুণ কাজ করে।তা ছাড়া এই তেলে মনোস্যাচুরেটেড ও পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকায় তা পেটের নানা ধরনের সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম।হজমশক্তির অনেকটাই উন্নতি হয় খাবারে সরিষা তেলকে প্রাধান্য দিলে।রান্নায় নিয়মিত সরিষা তেল ব্যবহার করলে হার্ট, হাড় ও স্নায়ুতন্ত্রের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।

সেই সঙ্গে সুরক্ষিত হয় সুস্বাস্থ্য ও ত্বকের যত্নও।সরিষা তেলে থাকা ওমেগা ৩ ও ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড লিভারের কার্যকারিতাও উন্নত করে। এই তেলের রান্নায় শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ে না, তেলটি রক্তে চর্বির মাত্রাও হ্রাস করে।এই তেলের গ্লুকোসিনোলেটের উপস্থিতি কলোরেক্টাল ও গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনালের মতো ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। হাড় বা মাংসপেশির যেকোনো ব্যথায় এই তেলের ম্যাসাজে অনেকটাই আরাম মেলে। দূর হয় ক্লান্তি ও অবসাদ।সরিষার তেলে রয়েছে ভিটামিন এ, ই এবং বি কমপ্লেক্স। যার ফলে রোদে পোড়া ভাব, বলি রেখা, কালো দাগ দূর করতে এই তেল ম্যাজিকের মতো কাজ করে।এই তেলে অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙাল উপাদান থাকায় ত্বকের শুষ্কতা ও চুলকানি রুখতেও সরিষার তেল বিশেষ কাজে আসে।সরিষা তেলের পরিপূর্ণ উপকারিতা পেতে অপরিশোধিত তেল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। চেষ্টা করুন এই তেলে ভাজা কোনো খাবার এড়িয়ে চলতে।

Development by: webnewsdesign.com