সরবরাহ সংকটে আবারও ঊর্ধ্বমুখী কাঁচা মরিচের দাম। কেজিতে দাম বেড়েছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। পাশাপাশি বিভিন্ন সবজির দামও বেড়েছে। তবে নিম্নমুখী আটা, ময়দা ও চালের বাজার। সোমবার (১০ জুলাই) সরেজমিনে রাজধানীর কারওয়ানবাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, দুদিন আগেও যে মরিচ বিক্রি হয়েছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা থেকে ৩৬০ টাকায়। আর ভালো মানের কাঁচা মরিচের দাম ছুঁয়েছে ৪০০ টাকা।
আমদানি কম ও মাঝে দুদিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটিতে বাজারে এলসি বন্ধের প্রভাব পড়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। আর দফায় দফায় ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ায় দিশেহারা ভোক্তারা। তারা বলছেন, বাজারে সবকিছুর দাম বেশি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষেরা।
তবে কাঁচা মরিচের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে রাজধানীর কয়েকটি কাঁচা বাজার মনিটরিং শেষে দরদাম ঠিক আছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিদফতর। সংগঠনটি আরও জানায়, বাজারে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।
এদিকে কেজিতে বিভিন্ন সবজির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। প্রতিটি লাউ ৭০-৮০ টাকায়, শসা দাম বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। কালো গোলবেগুন প্রতিকেজি ১০০ টাকায়। প্রতিকেজি ঢেঁড়শের দাম বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। প্রতিকেজি করোলা ১২০ টাকায়। প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫- ৫০ টাকায়। প্রতিকেজি বরবটি বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।
বিক্রেতারা জানান, দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হওয়ায় বাজারে সবজির সরবরাহ কম। এতে পাইকারিতেই কেজিতে সবজির দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও।
তবে মুদিবাজারে স্থিতিশীল রয়েছে ডাল, তেল ও চিনির দাম। ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে খোলা ও প্যাকেটজাত আটা ও ময়দার দাম। এদিকে, কোরবানি ঈদের আগে থেকেই সহনীয় রয়েছে চালের বাজার। প্রতি কেজি বিআর আটাশ চাল ৪৮ থেকে ৪৯ টাকা, মিনিকেট ৬২ থেকে ৬৪ টাকা ও নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৭২ টাকায়।
Development by: webnewsdesign.com