সরকারের চুক্তি অনুযায়ী পাওনা পরিশোধ করছে না ইন্ট্রাকো, শ্রমিকদের বিক্ষোভ

বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩ | ২:৫৪ অপরাহ্ণ

সরকারের চুক্তি অনুযায়ী পাওনা পরিশোধ করছে না ইন্ট্রাকো, শ্রমিকদের বিক্ষোভ
সরকারের চুক্তি অনুযায়ী পাওনা পরিশোধ করছে না ইন্ট্রাকো, শ্রমিকদের বিক্ষোভ
apps

রাজধানীর দক্ষিণখানে অবস্থিত ইন্ট্রাকো ডিজাইন ও ইন্ট্রাকো ফ্যাশন লিমিটেড নামক একই মালিকের মালিকানাধীন দু’টি রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা শ্রমিকদের ২ মাস ১২ দিনের বেতন বকেয়া রেখে গত ১২ মার্চ, থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৯০০ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ে।

পরে ২২ মার্চ, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে মালিক ও শ্রমিক এবং সরকারের মধ্যে অর্থাৎ ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে সমঝোতা চুক্তিতে সিদ্ধান্ত হয়- জানুয়ারি, ২০২৩ মাসের বকেয়া বেতন ২৮ মার্চ, ২০২৩ তারিখে। ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ মাসের বকেয়া বেতন এবং ১২ মার্চ, ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত (১ মাস ১২ দিনের বেতন) ১৬ এপ্রিল, ২০২৩ তারিখে। বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ধারা-২০ অনুযায়ী চূরান্ত পাওনা ও ঈদ বোনাস ২৪ মে, ২০২৩ তারিখে কারখানা কর্তৃপক্ষ পরিশোধ করিবে।

পরবর্তীতে মালিক চুক্তি ভঙ্গ করে ২৮ মার্চের পাওনা পরিশোধ না করলে শ্রমিকরা ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করলে ৩১ মার্চ, মধ্যরাতে শ্রমিকদের জানুয়ারি মাসের বেতনের ৭৫ ভাগ প্রদান করা হয়। বাকি ২৫ ভাগ ১৬ এপ্রিলের পাওনার সাথে সমন্বয় করে প্রদান করার কথা থাকলেও উলটো ১৬ এপ্রিলের পাওয়া আবার চুক্তি ভঙ্গ করে ৭৫ ভাগ প্রদাণ করা হয়। শ্রমিকরা তা নিয়েই ঈদ করতে চলে যায়।

বুধবার (২৪ মে) শ্রমিকদের জানুয়ারি, ২০২৩ মাসের বেতনের বাকি ২৫ ভাগ, ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ মাসের এবং ১২ মার্চ, ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত (১ মাস ১২ দিনের বেতন) এর বাকি ২৫ ভাগ ও বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ধারা-২০ অনুযায়ী চূরান্ত পাওনা ও ঈদ বোনাস চুক্তি অনুযায়ী পরিশোধ করার কথা থাকলেও পরিশোধ করা হয়নি। সকাল থেকেই বকেয়া পাওনার দাবিতে শ্রমিকরা কারখানায় জড়ো হতে থাকে। তারা বকেয়া পাওনার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। মালিক পক্ষের কেউ কারখানায় আসেনি এবং শ্রমিকদের সাথে কথা বলেনি। শ্রমিকরা বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ করে বাড়ি ফিরে যায়।

শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানের মালিক ইলিয়াস পাটোয়ারী সহজভাবে পাওনা দেওয়ার লোক না। প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হওয়ার আগে থেকেই আমাদের বিভিন্ন পাওনা আন্দোলন করে আদায় করতে হয়েছে। বৃহস্পতিবারের মধ্যে আমাদের পাওনা পরিশোধ না হলে আমরা সড়ক অবরোধ করব।’

কয়েকজন শ্রমিক বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে পাওনা আদায়ে আন্দোলন করছি। পাওনা না নিয়ে অন্য কোথাও চাকরিও করতে পারছি না। নির্দিষ্ট তারিখ দিয়েও পাওনা দিচ্ছে না। দিনের পর দিন পাওনার জন্য ঘুরতে হচ্ছে, মালিক তো আর হাজিরা দিচ্ছে না। আমাদের দুরবস্থার কথা কেউ চিন্তা করে না। বিজিএমইএ ও শ্রম মন্ত্রণালয় আমাদের বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে না। তারাও মালিকপক্ষে কাজ করছে।’ এ ব্যাপারে মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। তাঁরা ফোন বন্ধ করে রেখেছেন। কোথায় আছেন কেউ সঠিক তথ্য দিতে পারছেন না।

Development by: webnewsdesign.com