সংবিধান সংশোধন, থাইল্যান্ডে বিক্ষোভ অব্যাহত..

শুক্রবার, ২০ নভেম্বর ২০২০ | ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ

সংবিধান সংশোধন, থাইল্যান্ডে বিক্ষোভ অব্যাহত..
apps

বিক্ষোভের মুখে থাইল্যান্ডে সংবিধান পরিবর্তনের প্রশ্নে পার্লামেন্টে ভোট দিয়েছেন আইনপ্রণেতারা। বুধবার পার্লামেন্টে এ ভোট অনুষ্ঠিত হয়। তবে বেশিরভাগ এমপিই বিক্ষোভকারীদের দাবির বিপক্ষে অবস্থান নেয়ায় রাজধানী ব্যাংকক আবার বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার সংবিধান সংশোধনের কয়েকটি প্রস্তাব নিয়ে এমপিদের আলোচনা চলার মাঝেই পার্লামেন্টের বাইরে বিক্ষোভকারীদের সহিংস বিক্ষোভের পর এই ভোট হলো।

বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী সাবেক জেনারেল প্রায়ুথ চান-ওচাকে ক্ষমতা থেকে সরানো এবং রাজতন্ত্রের প্রভাব কমাতে সংবিধান সংশোধন চায়। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ণর ক্ষমতা হ্রাসের দাবিতে থাইল্যান্ডে গত কয়েকমাস ধরেই বিক্ষোভ চলে আসছে।  ২০১৪ সালে সেনা অভ্যত্থানের মাধ্যমে থাইল্যান্ডের ক্ষমতা দখল করেন প্রায়ুথ চান ওচা। গত বছর নির্বাচনের মাধ্যমে তার দল পুনরায় ক্ষমতায় আসে, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন তিনি। ওই নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেই তার পদত্যাগ এবং নতুন নির্বাচনের দাবিতে থাইল্যান্ডে বিক্ষোভ শুরু হয়।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, রাজপরিবারের সমর্থন থাকায় দেশটিতে যুগের পর যুগে সেনাশাসন চলছে। বিক্ষোভের মুখে থাইল্যান্ড সরকার বলেছে, তারা সংবিধান সংশোধন নিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত; কিন্তু রাজতন্ত্রের বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না।

এদিকে, থাইল্যান্ডে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। গত মঙ্গলবার দেশটিতে এ বিক্ষোভ সহিংস রূপ নেয়। এতে ছয়জন গুলিবিদ্ধ ও বেশ কয়েকজন আহত হন। ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার দেশটিতে কমপক্ষে ১০ হাজার গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারী পুলিশের প্রধান কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এ সময় তারা রং ও পানি পিস্তল ব্যবহার করেন।

যুক্তরাজ্যের ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিক্ষোভকারী নেতারা তাদের দিকে পানি কামান ব্যবহার করে রাসায়নিকযুক্ত পানি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ার নিন্দা জানান। তারা এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ‘স্বৈরাচারের দাশ’, ‘আমাদের কর’ প্রভৃতি স্লোগান দেন। পুলিশের আঙিনায় রং ছিটিয়ে দেন। এসময় বিক্ষাভকারীরা খেলনা পানি পিস্তল ব্যবহার করে পুলিশের প্রতিক্রিয়ার জবাব দেন।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্ট ভবনের পাশে সরকারবিরোধী ও রাজতন্ত্রের অনুসারী দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পানি কামান ব্যবহার করে।

অন্যদিকে, পার্লামেন্টে প্রায়ুথ চান-ওচার দলই এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ। এমনকি পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সেনেটের পুরো নিয়োগ হয়েছে ২০১৪ সালে জান্তা প্রায়ুথের হাতে।

রাজার ক্ষমতা খর্ব করার বিষয়ে সংবিধান সংশোধন বিলের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া সিনেটর সুয়ানফানোন বলেন, ‘‘আমাদের রাজপরিবারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।”

সংবিধান পরিবর্তনের জন্য আইনপ্রণেতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী মঙ্গলবার পার্লামেন্টের বাইরে জড়ো হয়েছিল। রাজার সমর্থকরা মিছিল করে সেখানে হাজির হলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। যাতে অন্তত ৪১ জন আহত হয়েছেন। আহতদের কেউ কেউ গুলিবিদ্ধও হয়েছেন।- রয়টার্স, বিবিসি।

Development by: webnewsdesign.com