শ্রীপুর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী কাজী খান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ। এতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তাকে পাঠানো নোটিশে বলা হয়, এদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট কাজী খান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ আলম উপজেলা পরিষদ চত্বরে সমর্থকদের নিয়ে শোডাউন ও সভা করেছেন।
এতে নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে। নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্ঘনের দায়ে তাদের বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। এবারের গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী চারজন। তারা হলেন-আওয়ামী লীগ মনোনীত গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান আনিছ, বিএনপি মনোনীত অ্যাডভোকেট কাজী খান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত রফিক মোমতাজী এবং শ্রীপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত শহিদুল্লাহ শহিদের বড় ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ আলম। নির্বাচনে সাধারণ কাউন্সিলর হিসেবে ৪৯ এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর হিসেবে ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রসঙ্গত, এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের ২৮ ডিসেম্বর। কিন্তু বিএনপির মনোনীত দলীয় মেয়র প্রার্থী শ্রীপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ শহিদ ৯ ডিসেম্বর মারা যান। ওই পদে নির্বাচন স্থগিত করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ।
পরে ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়। স্থগিত হওয়া পদে (মেয়র) মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ ২৩ ডিসেম্বর। মনোনয়ন বাছাইয়ের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৩১ ডিসেম্বর এবং ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
সকাল ৮টা হতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। সাধারণ আসনের কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে নতুন করে মনোনয়ন জমা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ভোটগ্রহণ হবে ইভিএমের মাধ্যমে।
Development by: webnewsdesign.com