“শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদি বৈঠক ডিসেম্বরে”

সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ৭:৪১ অপরাহ্ণ

“শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদি বৈঠক ডিসেম্বরে”
apps

আগামী ডিসেম্বরে বৈঠকে বসতে পারেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে সুবিধাজনক স্থানে বৈঠকে বসবেন দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী। করোনা পরিস্থিতি ঠিক না হলে ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন তারা।

মন্ত্রী বলেন, আগামী ডিসেম্বর দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হওয়ার ব্যাপারে একটি উজ্জ্বল সম্ভাবনার সৃস্টি হয়েছে। তবে দিনক্ষণ ঠিক হবে আরও পরে। সরাসরি বৈঠক হলে তা কোথায় হবে সেটিও এখন বলা যাচ্ছে না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বৈঠকের আলোচ্যসূচি দু’দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে ঠিক হবে। সাধারনত দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন ইস্যু, অমীমাংসিত ইস্যুগুলোর সমাধান, যৌথ স্বার্থ সংশ্নিষ্ট বিষয় স্থান পায়। এবারও এগুলোই স্থান পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এর আগে ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে সর্বশেষ বৈঠক হয়েছিল। চলতি বছর কভিড-১৯ মহামারী শুরু হলে মহামারী মোকাবেলায় সার্কভুক্ত দেশগুলোর যৌথ সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরিতে আয়েজিত ভারচুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে টেলিফোন আলাপও হয়েছে।

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিশ্বনেতাদের সাথে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলেন প্রধানমন্ত্রী-

জাতিসংঘের জীববৈচিত্র্য বিষয়ক চলমান সম্মেলনে ২০৩০ সালের মধ্যে জীববৈচিত্র্যের অবক্ষয় রোধে এখন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের ৬৪টি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সোমবার ভার্চুয়ালি এ ইভেন্টে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও অন্যান্য বিশ্ব নেতারা স্বাক্ষর করেছেন। খবর ইউএনবির।

স্বাক্ষরকারী বিশ্বের অন্য নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জ্যাসিন্ডা আর্ডান এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

স্বাক্ষরের মাধ্যমে বিশ্ব নেতারা বিশ্বব্যাপী প্রকৃতি, জলবায়ু এবং সংকটের মাত্রা হ্রাসে অন্যদেরও উদ্বুদ্ধ করতে সম্মিলিত প্রয়াসের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

পাশাপাশি, স্বাক্ষরকারী বিশ্ব নেতারা জলবায়ু সংকট, বনভূমি, বাস্তুতন্ত্রের অবক্ষয় এবং দূষণকে দূরীকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বন্যজীবন এবং জলবায়ু পরবর্তী মহামারি অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন।

এখন পর্যন্ত স্বাক্ষরকারী দেশের তালিকায় রয়েছে- ভুটান, কানাডা, যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, ই্উরোপীয় ইউনিয়ন, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, আয়ারল্যান্ড, ইসরাইল, ইতালি, মেক্সিকো, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, পর্তুগাল, স্পেন ও সুইডেন।

বিশ্ব নেতারা পৃথিবীতে প্রকৃতির ধ্বংস বন্ধ করতে ‘অর্থবহ পদক্ষেপ’ এর অংশ হিসেবে শতাব্দীর মাঝামাঝি নাগাদ দূষণকে হ্রাস করা, টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং মহাসাগরে প্লাস্টিকের বর্জ্য অপসারণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

তবে, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও চীনের প্রেসিডেন্টরা এমন প্রতিশ্রুতিতে স্বাক্ষর করা থেকে নিজেদের বিরত রেখেছেন।

Development by: webnewsdesign.com