সিরাজগন্জের কাজিপুরে উপজেলা পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, দেশে আধুনিক ক্রীড়ার রূপকার শহীদ শেখ কামালের নামানুসারে ‘শেখ কামাল আন্ত:স্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা-২০২৩’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৪ জানুয়ারী কাজিপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মাঠে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় সভাপতিত্বকরেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুখময় সরকার। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ -১ কাজিপুর সাংসদ প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়।তিনি বলেন, ” শুধু আন্দোলন সংগ্রামেই নয়, খেলার মাঠেও এক আকর্ষনীয় ও অনবদ্য চরিত্র ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ পুত্র শেখ কামালের । কৈশোরে ও তারুণ্যে খেলাধুলার সঙ্গে ছিল তাঁর নিবিড় সখ্যতা। তিনি বলেন,, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। সে লক্ষ্যেই উপজেলা পর্যায়ে স্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এই কৃতিত্ব জননেত্রী শেখ হাসিনার। ছাত্রসমাজকে মাদক সহ নানা অপরাধ থেকে মুক্ত রাখতে বড় ভূমিকা রাখবে এ আয়োজন।

বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুনাগরিক, মেধাবী ও উদ্যমী তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে এই প্রথম স্কুল ও মাদ্রাসার অংশগ্রহণে আ্যথলেটিকস প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। স্বাধীনতার পর আধুনিক ফূটবলের জনক শেখ কামাল। তিনি আবহানী স্পোটিং ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা। যুদ্ধের পর তখন যুব সমাজ বিপথগামী ও দিশেহারা ছিল, তখন শেখ কামাল বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং নাট্যদল প্রতিষ্ঠা করে যুব সমাজকে আলোর পথ দেখিয়েছেন। জাতির পিতার দেখানো পথ ধরেই দেশব্যাপী শুরু হচ্ছে শেখ কামাল আন্ত:স্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান সিরাজী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রেফাজ উদ্দীন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাপলা খাতুন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামীম আরা, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আতিকুর রহমান, পৌর মেয়র আব্দুল হান্নান তালুকদারসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তাগন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মন্ডলী। ।

এ প্রতিযোগিতায় উপজেলার ৫৩টি উচ্চ বিদ্যালয়, ১০টি মাদ্রাসা ও ৭টি কারিগরি স্কুলের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী আটটি ইভেন্টের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অংশ নেয়। প্রতিটি ইভেন্ট শেষ হওয়া মাত্র বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।