শীর্ষে নয়া দিল্লি!

বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২০ | ১:৩৩ অপরাহ্ণ

শীর্ষে নয়া দিল্লি!
apps

ধর্ষণকান্ডে শীর্ষে নয়া দিল্লি। ভারতের অপরাধ অনুসন্ধান ও গবেষণা বিষয়ক সংস্থা ‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো-এনসিআরবি’ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের অপরাধ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। বলা হচ্ছে, ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য সামাজিক ব্যাধিতে আক্রান্ত দেশটির প্রাণকেন্দ্র রাজধানী নয়া দিল্লি। আরও বলা হচ্ছে কয়েকটি আলোচিত অপরাধ তৎপরতার স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে দেশটির রাজস্থান ও গুজরাটের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলো। ভারতের কোন কোন রাজ্য কোন অপরাধের জন্য এই মুহূর্তে শীর্ষস্থান দখল করে আছে তার তালিকাই তুলে ধরেছে এনসিআরবি। এনসিআরবি প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনের চুম্বকীয় অংশ তুলে ধরা হলো দৈনিক জাগরণ এর পাঠকদের জন্য। গ্রন্থনা : এস এম সাব্বির খান

ধর্ষণ

নির্ভয়া হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই রাজধানী নয়া দিল্লি গায়ে সেঁটে বসেছে ‘ধর্ষণ রাজধানী’র তকমা। যদিও এই দাবির সত্যতা যাচাই করার মতো কোনও তথ্য নেই, তবু দিল্লি এখন এ নামেই কুখ্যাত। সকাল-সন্ধ্যা, রাত-দুপুর কোনও সময়ই নিরাপদ নয় সেখানকার নারীরা।

গাড়ি চুরি

উত্তর প্রদেশের মিরাট ও মুজাফফরনগরে বেড়েই চলেছে গাড়ি চুরির মতো ঘটনা। শুধু এই দুই শহরের পাশাপাশি উত্তর ভারতের অন্যান্য শহরেও হরদম চুরি করে বেড়াচ্ছে এখানকার গাড়িচোর চক্র। সম্প্রতি ভারতের গাড়ি চুরি ঘটনার তদন্ত থেকে উঠে এসেছে এই দুই শহরের কুখ্যাত আসামিদের নাম।

তথ্যপ্রযুক্তির দুর্নীতি

ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আরেক নতুন অপরাধ। আইটি ফ্রড বা তথ্যপ্রযুক্তির দুর্নীতি। আর এই অপরাধের রাজধানী বেঙ্গালুরু। যেখানে রয়েছে বিশ্বের সব তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার দফতর।

পরিচয়পত্র জালিয়াতি

‘ভোটার কার্ড’ বা ‘আধার’ জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির ঘটনা কয়েক বছরে মারাত্মক হারে বেড়েছে। অপরাধ ব্যুরোর সাইবার ক্রাইম বিভাগ জানাচ্ছে, এমন অপরাধের হারে শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণের শহর হাদ্ররাবাদ।

লুট ও ডাকাতি

মধ্য প্রদেশ ও রাজস্থানের বিভিন্ন অঞ্চল লুটপাটের জন্য কুখ্যাত। লুটতরাজ এখানকার নিত্যদিনের ঘটনা। যেখানে-সেখানে হরহামেশাই ঘটছে। হাইওয়ে পুলিশের তথ্যে, বড় রাস্তা সংলগ্ন বসতিহীন অঞ্চলগুলোই অপরাধীদের নজরে থাকে বেশি।

গুম-অপহরণ

বেশ কয়েক দশক ধরে চলে আসা গুমের প্রবণতা এখনও ভারতের রাজ্য বিহারের পিছু ছাড়েনি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসাজনিত কারণেই সেখানে বেশির ভাগ গুমের ঘটনা হয় বলে মনে করেন দেশটির অপরাধ বিশেষজ্ঞরা।

খুন

মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে খুনের ঘটনার জন্য যেন প্রসিদ্ধ উত্তর প্রদেশের ইটাওয়া ও বুলন্দ শহর অঞ্চল। কয়েক বছরে এই দুই শহরের সঙ্গে বিহারের বেগুসারাই শহরেও খুনের ঘটনা পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। ভারতের জাতীয় অপরাধ ব্যুরোর এক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

কয়লা মাফিয়া

কয়লা খনির জন্য বিখ্যাত ঝাড়খন্ডের আরেক নাম ‘মাফিয়া খন্ড’। দুর্ধর্ষ সব মাফিয়া চক্রের আনা-গোনা এই কয়লা মুল্লুকে। খুন-ধর্ষণ এখানে ছেলেখেলা, পুতুল খেলার মতো মামুলি কারবার।

বন্যপ্রাণীর চোরাশিকার ও পাচার

উত্তরাখন্ড বন্যপ্রাণীদের অভয়ারণ্য। বর্তমানে বন্যপ্রাণীদের চোরাশিকার ও পাচারের একাধিক চক্র। বাঘ, চিতাবাঘ ছাড়াও নানা রকমের পাখির চোরাপাচার হয় সেখান থেকে।

মাদক বাজার

হিমাচল প্রদেশের কুলু ও মানালি অঞ্চলে রয়েছে মাদক-পর্যটনের ব্যাপক প্রচলন। বিশেষ করে বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে রয়েছে এই অঞ্চলে আসার ঝোঁক। যার কারণ এই অঞ্চলে ব্যাপক হারে গাঁজা, আফিম ও চরসের উৎপাদন।

নকল

পরীক্ষায় নকল করার জন্য বিহারের বদনাম রয়েছে কয়েক দশক ধরে। এতটাই গভীরে এই নকলের ধারা যে বেশ কয়েক বার সারা রাজ্যে প্রথম হওয়া শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেও পরীক্ষায় নকল করার অভিযোগ ওঠে ও শিক্ষার্থীরা দোষীও সাব্যস্ত হয়।

Development by: webnewsdesign.com