শীতে বাড়ে চর্মরোগ, সমাধান উপায়

সোমবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ | ৪:৩০ অপরাহ্ণ

শীতে বাড়ে চর্মরোগ, সমাধান উপায়
শীতে বাড়ে চর্মরোগ, সমাধান উপায়
apps

রাজধানীসহ সারা দেশে জেঁকে বসেছে হাড় কাঁপানো শীত। সাধারণত ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে ধীরে ধীরে শীতের প্রবাহ বাড়তে দেখা যায়; কিন্তু এবার ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রচণ্ড শীতের কারণে এবং ঠাণ্ডা শৈত্যপ্রবাহের কারণে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। শরীরের চামড়া যখন শীত-স্পর্শকাতর তখন কমবেশি এই সমস্যা তক্বেই দেখা যায়।

শীতের চুলকানি বা উইন্টার ইচিং এর কারণ-

ঠান্ডা আবহাওয়া : বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠাণ্ডা ও শুষ্ক বাতাস ত্বকের উপরের স্তরের আর্দ্রতা চুষে নেয়। ফলে ত্বক ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। এর থেকেই ফুসকুড়ি, ত্বকের জ্বালাপোড়ার সমস্যা হয়। যাকে বলা হয় উইন্টার ইচ।

গরম পানির ব্যবহার : আবার অত্যধিক পানি ব্যবহারের কারণেও ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। বিশেষ করে করে গরম পানির ব্যবহার ত্বকের জন্য খুবই বিপজ্জনক। অত্যধিক গরম পানি ব্যবহার করলে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল দূর হয়ে যায়। ফলে শুষ্কতা ও লালচেভাবের সৃষ্টি হয়। তাই শীতে নিয়মিত গরম পানিতে গোসলের অভ্যাস পরিবর্তন করুন।

সাবানের রাসায়নিক : কিছু সাবানে রাসায়নিক থাকে, যা আপনার ত্ববের জ্বালাভাব ও শুষ্কতা বাড়ায়। গরম পানির সঙ্গে যদি এসব রাসায়নিক মিশ্রিত সাবান ব্যবহার করেন তাহলে ত্বকের শুষ্কতা আরও বেড়ে যাবে।

তাপ : ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় অনেকেই রুম হিটার ব্যবহার করেন। এতে ঘরের পরিবেশ বেশ গরম হয়ে যায়। এটি স্বস্তিকর হলেও এর ব্যবহারে ত্বকের শুষ্কতা বাড়ে। এর থেকে হতে পারে উইন্টার ইচ।

এই সমস্যা সমাধানে করণীয়-

* ঘন, সুগন্ধমুক্ত ক্রিম ব্যবহার করবেন না।

* ত্বকের যে স্থানে বেশি চুলকানি অনুভব করবেন সেখানে ঠান্ডা, ভেজা কাপড় বা বরফের প্যাক ব্যবহার করুন।

* গোসলের সময় হালকা গরম পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে ওই পানিতে গোসল করুন।

* গোসলে সাবান ব্যবহারের বদলে হালকা ক্লিনজার বা সাবানমুক্ত পণ্য ব্যবহার করুন, যা ত্বকের তেল শুষে নেবে না।

* গোসলের পর ত্বক ময়েশ্চারাইজ করুন। ত্বকের শুষ্কতা বা চুলকানি রোধে ভালোমানের লোশন ব্যবহার করুন।

* চুলকানি-দমনকারী ক্রিমগুলো এড়িয়ে চলুন। এতে থাকা রাসায়নিক শীতের চুলকানিকে আরও খারাপ করতে পারে। এর পরিবর্তে চুলকানি উপশম করতে ময়েশ্চারাইজারের সঙ্গে একটি ওভার-দ্য-কাউন্টার হাইড্রোকর্টিসোন ১% ক্রিম ব্যবহার করুন।

* পোশাক নির্বাচনে সতর্ক থাকুন। সিল্ক ও সুতির মতো হালকা ওজনের পোশাক পরুন। ফ্ল্যানেল ও উলের পোশাক পরলে ত্বকের জ্বালাপোড়া ভাব বাড়তে পারে।

* প্রচুর পানি পান করুন।

* ঠাণ্ডা আবহাওয়া ও শুষ্ক বাতাসের মধ্যে বাইরে যাওয়ার সময় গ্লাভস, স্কার্ফ, টুপি ও গরম কাপড় ব্যবহার করুন ত্বকের সুরক্ষায়। * শীতকালেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

শুধু সামনে নয়, হাঁটুন পেছনেও!

আমাদের মধ্যে বেশির ভাগ মানুষই সামনে হাঁটেন। তবে সামনে হাঁটার পাশাপাশি পেছনে হাঁটতে পারলেও অনেক লাভ হয়। সে ক্ষেত্রে শরীরে ভালো থাকে। এমনকি মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও বাড়ে। পাশাপাশি শরীরের ভারসাম্য রাখতেও সুবিধা হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, আমাদের মধ্যে বেশির ভাগ মানুষ কসরত করেন না। ফলে হাঁটা হতে পারে ব্যায়ামের বিকল্প। এ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সমস্যা কমাতে চাইলে অন্তত পক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে। এ সময়টুকু হাঁটতে পারলে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলসহ বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব।

আমরা বেশির ভাগ মানুষ সামনের দিকে হাঁটি। এটাই হলো- স্বাভাবিক পন্থা। তবে অনেকে পেছনের দিকেও হাঁটতে পারেন। এভাবে হাঁটার রয়েছে অনেক উপকারিতা। তাই দিনে অন্তত ২০ মিনিট হাঁটতে পারেন। পেছন ফিরে হাঁটলে যেসব উপকার হয়-

Development by: webnewsdesign.com