বাংলা সাহিত্যের ক্ষণজন্মা লেখক ও শিশু সাহিত্যিক সুকুমার রায়ের জন্মদিন আজ। ১৮৮৭ সালের এইদিনে কলকাতার এক ব্রাহ্মণ পরিবারে সুকুমার রায় জন্মগ্রহণ করেন। তার আদি বাড়ি ছিল বর্তমান বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি। তার মোট ২ ভাই ও ৩ বোন ছিল
সুকুমার রায় হাসির ছলে শিশুদের শিখাতে লিখেছেন অনেক ছড়া ও কবিতা। তাকে বলা হয় ননসেন্স কবিতার প্রবর্তক। এই বাঙালি লেখক একাধারে, ছড়াকার, শিশুসাহিত্যিক, রম্যরচনাকার, প্রাবন্ধিক ও নাট্যকার। শিশুদের বিকাশে নিরলস চেষ্টাকারী তিনি, আনন্দের সঙ্গে শেখাতে লিখেছেন মজার ছড়া, গল্প ও কবিতা। শিশু সাহিত্যিক হিসেবে পরিচিত। তার বাবা ছিলেন শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়। বাবার লেখা তাকে প্রথম শিশুসাহিত্যে অনুরাগী করে।
ছোট বেলায় সুকুমার রায়ের নাম ছিল তাতা। এই নামে ৮ বছরেই লিখেন ছড়া। কলেজে পড়ার সময়েই ‘ননসেন্স ক্লাব’ গড়ে শুরু করেন হাসি-তামাশার গল্প-কবিতার চর্চা। বাবা মারা যাবার পর সন্দেশ পত্রিকার দায়িত্ব নিয়ে পুরোদস্তর লেখালেখি শুরু করেন।
সুকুমার রায়ের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থাবলী হলো: ‘আবোল তাবোল’, ‘পাগলা দাশু’, ‘হেশোরাম হুশিয়ারের ডায়েরি’, ‘খাই-খাই’, ‘অবাক জলপান’, ‘লক্ষণের শক্তিশেল’, ‘ঝালাপালা ও অনান্য নাটক’, ‘হ য ব র ল’, ‘শব্দ কল্প দ্রুম’, ‘চলচ্চিত্তচঞ্চরী’, ‘বহুরুপী’, ‘ভাষার অত্যাচার’। অসংখ্য জনপ্রিয় ছড়া দিয়ে এই যুগের মায়েরাও শিশুদের ঘুমপাড়ান।
মাত্র ৩৭ বছর বয়সে কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ক্ষণজন্মা এই সাহিত্যিক। সেই সময় এই রোগের কোনো চিকিৎসা ছিল না। মৃত্যুর সময় তিনি একমাত্র পুত্র সত্যজিৎ রায় এবং স্ত্রী সুপ্রভা রায়সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।
১৯৮৭ সালে ছেলে প্রখ্যাত পরিচালক সত্যজিত রায় বাবা সুকুমার রায়কে নিয়ে তৈরি করেন বায়ো-ডকু।
Development by: webnewsdesign.com