বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে র্যাগিং বন্ধে অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড ও কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী তিন মাসের মধ্যে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগিং থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
জনস্বার্থে অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসানের দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
এর আগে গত বুধবার দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগিং বন্ধ ও র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান জনস্বার্থে এ সংক্রান্ত রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, শিক্ষা সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
গত বছরের ৯ অক্টোবর দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং বন্ধ ও র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠান এ আইনজীবী।
পরে আইনজীবী ইশরাত হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনেক স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা তরুণরা সিনিয়রদের র্যাগিংয়ের শিকার হন। সিনিয়ররা নতুনদের কান ধরে ওঠবস করানো, রড দিয়ে পেটানো, পানিতে চুবানো, উঁচু ভবন থেকে লাফ দেয়ানো, সিগারেটের আগুনে ছ্যাঁকা দেয়া, গাছে ওঠানো, ভবনের কার্নিশ দিয়ে হাঁটানো, এমনকি দিগম্বর পর্যন্ত করে।’
এছাড়াও রাগিংয়ের নামে গালিগালাজ করা, কুৎসা রটানো, নজরদারি করা ও নিয়মিত খবরদারির মতো নানা ধরনের মানসিক নির্যাতন করা হয়। এসব অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে বলেও জানান রিটকারী আইনজীবী।
Development by: webnewsdesign.com