শান্তি চুক্তিতে ইসরায়েলের শর্ত, মেনে নিতে বললেন বইডেন

শনিবার, ০১ জুন ২০২৪ | ১১:২৩ পূর্বাহ্ণ

শান্তি চুক্তিতে ইসরায়েলের শর্ত, মেনে নিতে বললেন বইডেন
শান্তি চুক্তিতে ইসরায়েলের শর্ত, মেনে নিতে বললেন বইডেন
apps

হামাস যদি সব জিম্মিকে মুক্তি দেয়, তবে গাজা ইস্যুতে শান্তি চুক্তিতে আসার ব্যাপারটি বিবেচনা করবে ইসরায়েল। এমটি জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছে, সবার আগে জিম্মিদের মুক্তি দিতে হবে। যদি তা না হয়—গাজায় অভিযান থামবে না এবং কোনো চুক্তিও হবে না। এর আগে বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি দিয়েছে হামাসের এক নেতা। তিনি বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আর কোনো আলোচনায় অংশ নিতে রাজি নয় তারা; তবে ইসরায়েল যদি গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করে— তাহলে সব জিম্মিকে ছেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি স্থায়ী শান্তি চুক্তির জন্য ‘সম্পূর্ণ প্রস্তুত’ রয়েছে গোষ্ঠীটি।

বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ‘গাজায় আমাদের জনগণ, পরিবার-পরিজনদের ওপর গণহত্যা চলছে। যারা বেঁচে আছে, তারা প্রতিদিন আগ্রাসন-দুর্ভিক্ষ-দখলদারিত্বের শিকার হচ্ছে। হামাস এবং ফিলিস্তিনের অন্যান্য নেতৃস্থানীয় বিভিন্ন গোষ্ঠী মনে করে, এই পরিস্থিতিতে গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনায় হামাসের অংশগ্রহণ সার্বিক অবস্থার কোনো পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হবে না।’

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্থানীয় সময় শুক্রবারবিকেলে হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, গাজায় যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে ইসরায়েল একটি বিস্তারিত নতুন প্রস্তাব পেশ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই সময় সংঘাতের অবসানে হামাসকে নতুন ইসরায়েলি প্রস্তাব মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘যুদ্ধ শেষ হওয়ার সময় এসেছে।’

তিন ধাপের প্রস্তাবটিতে প্রথমেই রয়েছে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি। এই ধাপে গাজার জনবহুল এলাকা থেকে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (আইডিএফ) প্রত্যাহার করা হবে। গাজায় ব্যাপক মাত্রায় মানবিক সাহায্য বা ত্রাণ পৌঁছানো হবে, সেইসঙ্গে ফিলিস্তিনি বন্দিদের সঙ্গে কিছু জিম্মি বিনিময় করা হবে।

চুক্তিটির শেষ ধাপে স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করা এবং গাজার জন্য একটি বড় আকারের পুনর্গঠন পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে। হোয়াইট হাউসে বাইডেন বলেন, ‘হামাস বলে তারা যুদ্ধবিরতি চায়, এই প্রস্তাবটি তাদের সামনে নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ।’ তিনি বলেন, ‘এই চুক্তি গাজায় প্রতিদিন ৬শ ট্রাক সাহায্য নিয়ে যাওয়াসহ বিপর্যস্ত অঞ্চলে আরও মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর অনুমতি দেবে। দ্বিতীয় ধাপে পুরুষ সৈন্যসহ অবশিষ্ট জীবিত জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা হবে। তখন এই যুদ্ধবিরতি স্থায়ীভাবে শত্রুতার অবসান ঘটাবে।’

হামাসও নতুন প্রস্তাবটিকে ইতিবাচকভাবে দেখছে। তবে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি তাণ্ডব থামছেই না। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে শুক্রবার তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজায় কমপক্ষে ৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন ২৮০ জন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, গেল বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ হাজার ২৮৪ জনে। পাশাপাশি এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৮২ হাজার ৫৭ জন।

Development by: webnewsdesign.com