১০০ কোটি টাকার সিনেমার পোস্টারে হাসির খোরাক অনন্ত জলিল

শনিবার, ১৩ মার্চ ২০২১ | ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ

১০০ কোটি টাকার সিনেমার পোস্টারে হাসির খোরাক অনন্ত জলিল
apps

এবার অনন্ত জলিলের পূর্বের সব সিনেমার বাজেট ছাড়িয়ে গেছে তার সিনেমা ‘দিন দ্য ডে’। অনন্ত নিজেই জানান, এ সিনেমার বাজেট ১০০ কোটি টাকা।

কেন শত কোটি টাকা লাগছে? অনন্ত গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, সিনেমাটির যে পেক্ষাপট এবং ব্যাপ্তি তা দর্শক পর্দায় দেখলেই বুঝতে পারবেন। এ সিনেমাটি তো শুধু আমাদের দেশের জন্য নির্মিত হচ্ছে না, এটি একটি আন্তর্জাতিক সিনেমা। হলিউড-বলিউডে যেসব সিনেমা নির্মিত হয়, তা কিন্তু আর্ন্তজাতিক বাজারকে সামনে রেখে করা হয়। আমার এ সিনেমাটিও সেই লক্ষ্যেই নির্মিত হচ্ছে। শুটিং হয়েছে আফগানিস্তান, ইরান, বাংলাদেশ ও তুরস্কে।

এতো বাজেট আর এতো লোকেশনের কথা বলার পর সিনেমাটির যে টিজার প্রকাশ পেয়েছে তা পড়েছে তুমুল সমালোচনার মুখে। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে চলছে ট্রোল। নেটিজেনরা বলছেন, ‘এটা তো সিনেমা নয়, আলিফ লায়লা। ‘ অনেকেই অনন্ত জলিলের ফেসবুক পেইজে কড়া ভাষায় সমালোচনা করছেন। ‘ক্ষ্যাত’ বলেও আখ্যায়িত করছেন অনেকে।

তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয় হলো অনন্ত জলিলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে টিজারটি প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে ১৯ হাজার অনুসারী প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। এর মধ্যে ১২ হাজার জন দিয়েছেন ‘হা হা’ রিঅ্যাক্ট অর্থাৎ হাস্যকর প্রতিক্রিয়া।

ভিডিও

হাবিব নামের একজন মন্তব্য করেছেন, ‘আলিফ লায়লা যুগের মতো ভিএফএক্স এখন কেউ খায় না! ভাই দেশে অনেক ট্যালেন্টেড ভিএফএক্স আর্টিস্ট আছে, আপনার এ গ্রেড মুভির জন্য এরকম সি গ্রেড ভিএফএক্স মানায় না। শুধু শুধু এদের পিছনে টাকা না ঢেলে যারা ভালো ভিএফএক্স আর্টিস্ট ওদেরকে হায়ার করেন। এরকম ভুগিচুগি জিনিসের জন্যই ভালো জিনিসের উপর দাগ পড়ে। ‘

খালেদ মানসুর নামের একজন লিখেছেন, ‘১০০ কোটি টাকা খরচ করে এই গু বানাইসেন বস? রেল স্টেশনের সাইডে মোবাইল দোকানে বসে যেসব পিচ্চি-ওরাও আরো ভালো এডিট করে দিবে-ভিএফেক্স লাগবেও না। ইনফ্যাক্ট এই ট্রেলার দেখার পর আপনার নিঃস্বার্থ ভালোবাসা আমার কাছে ভালো লাগা শুরু হইছে। টাকাপয়সা ভালো পথে বিনিয়োগ করুন। এসব অখাদ্য পাবলিক খাবেনা বস। ‘

আলমিরাজ নামের একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এটা কি রে ভাই? পাবজির গ্রাফিক্স তো এর থেকে শতগুনে ভালো। আমিতো দেখে দুঃখি দ্যা Sad হয়ে গেলাম। ‘

তানজিল রাফিন নামের একজন মন্তব্য করেছেন, ‘কেমন অ্যানিমেশন রে ভাই। জেটপ্লেন এর গ্রাফিক্স ছিল মটু পাতলু-এর মতো। আর গাড়িটা যে ফাটল অইটাও প্রাচীন আমলের ভিএফক্স। আর এই সিনেমা নাকি ১০০ কোটি দিয়া বানাইসে। এইটুকু বলব যে প্রযোজক পথে বসতে চলেছে। ‘

অবশ্য কেউ কেউ এটাকে বাণিজ্যিক কৌশল হিসেবেও ধরছেন, একজন লিখেছেন, ‘অনন্ত জলিল একজন জাত বিজনেস ম্যান। উনি ভাল করেই জানেন কেমন ট্রেইলার বানালে ভাইরাল করা সহজ। ভাল ভাল সিনেমার ট্রেইলারে ভিউ শেয়ার আসে না। ভিউ শেয়ার আসে এইসব সস্তা কাজে। ‘

দীপ্ত নামের একজন লিখেছেন, “হাসি দ্যা স্মাইল” আসছে এইটা দেখে, আপনারে এইগুলা ভুংভাং করে বানায় দেয় কে? প্লিস ওরে “লাত্থি দ্যা কিক” মেরে তাড়ান। এত এত ভালো কাজ করেন এইগুলা করে হাসির পাত্র হয়ে আর কতদিন থাকবেন?

একজন লিখেছেন, ‘আপনি বড় ব্যাবসায়ী হতে পারেন কিন্তু মুভির নায়ক হিসেবে আপনি বরাবরই জিরো। এইটাকে মুভির ট্রেইলার বলে? এটা যদি ট্রেইলার হয় তাহলে শুনে রাখেন পৃথিবীর ইতিহাসে এর চেয়ে বাজে ট্রেইলার আর হয় নাই। আপনার অনেক টাকা যেহেতু আছে, আপনি ভাল নায়ক আর ভাল কাহিনি নির্ভর ছবি বানান। আর আপনার বউ এর এক্টিংও জঘণ্য। দয়া করে মুভির নামে এই … গুলা বানাবেন না। ‘

গতকাল প্রকাশিত এই মোশন পোস্টারে এরকম শত শত নেতিবাচক মন্তব্যে ভরে উঠছে। বিভিন্ন চলচ্চিত্র গ্রুপগুলোতেও টিজারটি নিয়ে আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে।

 

Development by: webnewsdesign.com