ভিনিসিয়ুস জুনিয়র নেই। রিয়াল মাদ্রিদেরও উৎসব নেই। যে লিভারপুলের বিপক্ষে জয়ের মালা গাঁথা ছিল, সেই দলটির কাছে এবার ধরাশয়ী মাদ্রিদের অভিজাতরা। ভিনিসিয়ুসের চোটে যার কাঁধে দলের দায়িত্ব চেপেছিল সবচেয়ে বেশি, সেই কিলিয়ান এমবাপ্পে উল্টো ডুবালেন!
হতশ্রী পারফরম্যান্সের চূড়ান্ত পরিণতি টানেন পেনাল্টি মিস করে। ফল, ১৫ বছর পর লিভারপুলের কাছে হারের তিক্ততা স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের। অ্যানফিল্ডে লিভারপুলের কাছে হেরেছে ২-০ গোলে। ২০০৯ সালের পর এই প্রথম ইংলিশ ক্লাবটির বিপক্ষে হারের মুখ দেখল তারা।
দুটো গোলই অবশ্য আসে বিরতির পর। ৫২ মিনিটে ব্র্যাডলির সঙ্গে ওয়ান-টুর করে সামনে এগিয়ে যান আলেক্সিস মাক আলিস্তার। ক্লপ এন্ড থেকে দারুণ এক শট নিয়ে ডেডলক ভাঙেন এই আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার।
৮ মিনিট বাদে ম্যাচে ফেরার সুবর্ণ সুযোগ পায় রিয়াল। বক্সের ভেতর থাকা লুকাস ভাসকেজকে লিভারপুল ডিফেন্ডার অ্যান্ডি রবার্টসন মাটিতে ফেলে দিলে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি কিলিয়ান এমবাপ্পে। স্পটকিক থেকে তার নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন লিভারপুল গোলরক্ষক কাউয়িমিন কেলেহার।
৭০ মিনিটে পেনাল্টি পায় লিভারপুলও। এবার নিজেদের বক্সে মোহামেদ সালাহকে ফেলে দেন ফারলা মেন্দি। এরপর যথারীতি সালাহ নিজেই পেনাল্টি নিতে আসেন। কিন্তু তার শট পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়।
যদিও সেই হতাশার রেশ বেশিক্ষণ বইতে হয়নি স্বাগতিকদের। ৭৬ মিনিটে রবার্টসনের ক্রস থেকে হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কোডি গাকপো।
এর ফলে পাঁচ ম্যাচে পাঁচ জয় নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে শীর্ষস্থান মজবুত করলো লিভারপুল। অন্যদিকে ৫ ম্যাচে ২ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ২৪ নম্বরে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল।
Development by: webnewsdesign.com