লক্ষ্মীপুরে স্কুলছাত্রী স্মৃতি নাথ সীমাকে ধর্ষণ-খুনে ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল

মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২০ | ৮:৪১ অপরাহ্ণ

লক্ষ্মীপুরে স্কুলছাত্রী স্মৃতি নাথ সীমাকে ধর্ষণ-খুনে ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল
apps

লক্ষ্মীপুরে স্কুলছাত্রী স্মৃতি নাথ সীমাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় বিচারিক আদালতে দেওয়া ১০ জনের মধ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। বাকী দু’জনের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন দণ্ড দেন।
ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের শুনানি শেষে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা এ রায় দেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। পলাতকদের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী এ এস এম শফিকুল ইসলাম কাজল ও মো. হাফিজুর রহমান খান।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আমিনুল ইসলাম, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শোভানা বানু, ফারহানা আফরোজ ও শামসুন নাহার লাইজু।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আমিনুল ইসলাম।
২০১৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ১৫ আসামিকে বেকসুর খালাস দেন।
এরপর মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) যাবতীয় নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এছাড়া কারাবন্দী আসামিরা আপিল করেন।
মঙ্গলবার হাইকোর্ট আসামি হিরণ, নুর নবী, নুর আলম, হেদায়েত উল্যা হেদু, সাদ্দাম (পলাতক), সুমন (পলাতক), রাশেদ (পলাতক) ও মানিককে (পলাতক) দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। বাকী দু’জন আনোয়ার ও সোহেলের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন দেন।
রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, ঘটনার সময় সীমা লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার প্রতাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
২০১২ সালের ১৮ জুলাই রাতে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষ্ণ লাল দেবনাথের বাড়িতে একদল ডাকাত ঢুকে পড়ে। এ সময় ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পরিবারের সদস্যদের মারধর করেন।
পরে ঘরের একটি কক্ষে স্কুলছাত্রী সীমাকে ধর্ষণ করে বাড়ি থেকে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় সীমাকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরদিন সীমার দাদা কৃষ্ণলাল দেবনাথ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় একাটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৩ সালের ২৫ মে মামলায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

Development by: webnewsdesign.com