রাজধানীর বাজারে পাল্লা দিযে বেডেেছ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। করোনার জন্য লকডাউন থাকা এবং বৃষ্টির কারণে দ্রব্যমূল্যের দাম বেডেেছ বলে বলছেন ব্যবসায়ীরা।
২১ জুন সোমবার সাকালে রাজশাহী মহানগরীর বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, মুরগির ও গরুর মাংসের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সবজি ও ডিমের দাম। কয়েক সপ্তাহ থেকে কিছুটা কমদামে বিক্রি হওয়ার পর নগরীর বাজারগুলোতে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। গত সপ্তাহের চেয়ে, বর্তমানে ব্রয়লার মুরগি ১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি ডিমের দামে হালিতে বেড়েছে ৪ থেকে ৬ টাকা। বর্তমানে সাদা ডিম ৩২ টাকা ও লাল ডিম ৩৬ টাকা। অথচ গত সপ্তাহে ডিম বিক্রি হয়েছিল ২৮ থেকে ৩২ টাকা হালিতে। অস্বস্তি রয়েছে সবজির বাজারেও। আগের মতোই চড়াদামে বিক্রি হচ্ছে কিছু সবজি। এছাডা সীমান্তে গরু আসা বন্ধ থাকায় বেড়েছে গরুর মাংসের দাম।
সপ্তাহ খানেক আগে রাজশাহীর বাজারে গরুর মাংসের দাম ছিল ৫৫৫ থেকে ৫৬০টাকা। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫৭০ টাকায়। তবে কেজি প্রতি ১৫ টাকায় নেমে এসেছে কাঁচামরিচের দাম।
মুরগির দাম বাড়ার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, নগরীতে কঠোর লকডাউনের গাড়ি আসতে পারছেনা, এতে সরবরাহ কম। আবার মুরগির খাবারের দাম একটু বাড়তি। সবকিছু মিলেই ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে গেছে। তাছাড়া মাসের বেশি সময় ব্রয়লার মুরগি কিছুটা কম বিক্রি হয়েছে।
সবজি ব্যবসায়ী সামাদ জানান, বর্ষায় সবজির দাম একটু বেশি থাকে। ঝড়-বৃষ্টি ও বর্ষার কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। সব কিছু ডুবে গেলে চাহিদার তুলনায় সবজি সরবরাহ কমে আসে। সামাদ নামে ক্রেতা জানান, করোনার কঠোর লকডাউনে কারণে সবপণ্যের দামে বেশি বলছে বিক্রেতারা। লকডাউন ও বর্ষার অজুহাত দেখিয়ে এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
দিনমজুর লিটন জানান, আমরা দিনমজুর খেটে খাই। প্রতি সপ্তাহে যে ভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েই চলেছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের কী হবে?
মহানগরীর সাহেববাজারে ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম বেশি থাকলেও এ সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে ৪৫ টাকা থেকে বেডে ৫০ টাকায বিক্রি হচ্ছে। কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা থেকে কমে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাডা আদা ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, রসুন ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। প্রতি কেজি আলু ১৮ থেকে ২০ টাকা, বেগুন দাম বেড়ে ৫০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, কচু ৪০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ২০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, ঝিঙে ২০ থেকে ২৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকা, বরবটি দাম বেড়ে হয়েছে ৩০ টাকা, সজনে ডাটা ৬০ থেকে ৭০ টাকা। প্রতি পিস লাউ ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এ ছাড়াও প্রতি কেজি চিনি ৬৮ টাকা, মসুর ডাল ৮০ থেকে ৯০ টাকা, সোনামুগ ১৪০ টাকা, ছোলাবুট ৬৫ টাকা, খেসারি ৮০ টাকা, বুটের ডাল ৮০ টাকা, মটর ৯৫ টাকা ও অ্যাংকর ডাল ৪৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল ডিম ৩২ টাকা হালি ও সাদা ডিম ২৮ থেকে ৩০ টাকা। এদিকে চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহে প্রতি কেজি স্বর্ণা ৪৮ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এ সপ্তাহে ৪৬ টাকা দরে বিক্রি। নতুন আটাশ ৫০ থেকে ৫৮ টাকা, এ সপ্তাহে আটাশ ৫০ থেকে ৫২ টাকা। নতুন মিনিকেট ৫৬ টাকা, পুরোনো মিনিকেট ৬০ থেকে ৬২ টাকা, বাসমতি ৬৮, এ সপ্তাহে বাসমতি ৬৫ টাকা। নাজিরশাল ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা। পোলাও চাল ৮০ থেকে ৯০ টাকা, কাটারিভোগ ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে, আকারভেদে প্রতি কেজি ইলিশ ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এক কেজির ওপরে ওজনের মাছ এক হাজার ২০০ টাকা ও এক কেজির নিচে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অন্যান্য মাছের মধ্যে রকমভেদে মৃগেল ১২০ থেকে ১৮০ টাকা, রুই ২০০ থেকে ২২০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ২০০ টাকা, সিলভার ৯০ থেকে ১৫০ টাকা, কালবাউস ১৫০ টাকা, তেলপিয়া ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, শোল মাছ ৪০০ টাকা, পুঠিমাছ ১২০ টাকা। ময়া ২০০ থেকে ৪০০ টাকা। ট্যাংরা ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পাবদা ৩৫০ টাকা। বাটা মাছ ১৪০০ টাকা। ছোট জালমাছ ৪০০ টাকা। নদীর গলদা চিংড়ি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। মাগুর ৪৫০ টাকা ও টাকি মাছ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
মাংসের মধ্যে, প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৫০ টাকা কেজি দরে যা ৫৬০ টাকা বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও খাশির মাংস ৮০০ টাকা ও ছাগলের মাংস ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা, সোনালীর দাম কমে ২০০ টাকা, সাদা লেয়ার ১০ টাকা কমে ১৯০ টাকা, দেশি মুরগি কেজিতে ৪২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বিক্রেতারা বলেন, মুরগির দাম উঠানামা করছে। কিন্তু আবারও এ সপ্তাহে বাড়তি। তবে লেয়ার মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে।
Development by: webnewsdesign.com