বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন ইস্যুতে তুরস্কের জনগণ ও সরকার পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আমাদের বাংলাদেশে প্রায় তিন বছর হতে চলেছে। তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়া উচিত। আমি মনে করি, এই ইস্যুতে তুরস্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
গতকাল সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে তুরস্কের আঙ্কারা মিশনের বাংলাদেশ চ্যান্সেরি কমপ্লেক্সের উদ্বোধনকালে ভিডিও কনফারেন্সে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া এই নীতিই আমাদের পররাষ্ট্র নীতির মূলনীতি।’
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্নই দেখেননি। তিনি ক্ষুধা, দারিদ্র্য সংঘাতমুক্ত বিশ্বের স্বপ্নও দেখেছেন। মানবকল্যাণে বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার ওপর গুরুত্বারোপ করে গেছেন তিনি।’
চলমান করোনা মহামারি সংকটের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারিতে বিশ্ব এক কঠিন সময় পার করছে। এই মহামারি বিশ্বের অধিকাংশ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং অর্থনীতিকে স্থবির করে দিয়েছে।
বাংলাদেশে আমরা সফলতার সঙ্গে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে পেরেছি। একই সময়ে আমাদের সময়োপযোগী এবং সঠিক পদক্ষেপ এবং বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ নেয়ার মাধ্যমে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের ধ্বংসাত্মক প্রভাব কিছুটা মোকাবিলা করতে পেরেছি।’
প্রাণঘাতী করোনা মোকাবিলায় সফলতার জন্য তুর্কি নেতৃত্বের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসগলু, তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দীকী।
Development by: webnewsdesign.com