রূপগঞ্জের ৪৮৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলছে পাঠদান কার্যক্রম

সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ৫:০০ অপরাহ্ণ

রূপগঞ্জের ৪৮৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলছে পাঠদান কার্যক্রম
apps

মহামারী করোনা ভাইরাসে লন্ডভন্ড গোটাদেশ। অর্থনীতি একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছে। বন্ধ ছিল কলকারখানার চাকা। মানুষের জীবন যাত্রায় নেমে এসেছে অচলাবস্থা।অন্যসব প্রতিষ্ঠান মাঝে মধ্যে খোলা থাকলেও স্কুল কলেজ বন্ধ রয়েছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের প্রথম দিক থেকেই। প্রায় ১৮ মাস পর খুলল স্কুল কলেজের তালা। শিক্ষার্থীদের মাঝে যেন ঈদের আমেজ বিরাজ করছে। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

প্রাণঘাতী মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দীর্ঘ ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর সরকারী নির্দেশে স্বাস্থ্য বিধি মেনে রবিবার থেকে সারাদেশের মত নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কিন্ডারগার্টেনগুলোতে এ পাঠদান কার্যক্রম চলছে।
করোনা মাহামারিতে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ভার্চুয়ালের মাধ্যমে পাঠ গ্রহন কার্যক্রমে যুক্ত থাকলেও শ্রেণী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণীকক্ষে ছিল তালা।

এতে করে শিক্ষার্থীদের মনমানসিকতা অনেকটাই ভেঙ্গে পড়েছিল। অবশেষে নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গিয়ে শিক্ষা গ্রহণে শিক্ষার্থীদের অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর চির চেনা প্রিয় ক্যাম্পাসে ফিরতে পারায় শিক্ষার্থীদের অনেক উৎফুল্ল দেখা গেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণী কক্ষগুলো আবার সরব হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীদের পদচারণায়।

শিক্ষার্থী ও শিক্ষদের পদচারনায় মুখরিত হলো উপজেলার ৪৮৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
সরেজমিনের ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার মোট ৪৮৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর রবিবার থেকে এসকল প্রতিষ্ঠানে যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সরকারী নিদের্শনা মেনে প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য কিছুদিন আগেই সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে চিঠি এসেছে। একারনে গত কিছুদিন ধরে প্রতিষ্ঠান গুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য কাজ করেছে সকল প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।

রবিবার সকাল থেকে উপজেলা ১১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১২টি কলেজ, প্রায় ৩‘শতাধিক কিন্ডার গার্টেন, ১৯টি দাখিল মাদ্রাসা, ৭ আলিম ও ফাজিল মাদ্রাসার সামনে টানিয়ে দেয়া হয়েছে সরকারী নির্দেশনা সম্বলিত ফেসটুন। প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ মুখে শিক্ষক/শিক্ষিকারা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবানু মুক্ত করণ ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন মাপক যন্ত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা পরিক্ষা করতে দেখো গেছে। এছাড়া সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ ও ক্লাশ কক্ষে বসানো হয়েছে।

এব্যাপারে রূপগঞ্জ সদরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল মতিন মিয়া বলেন, মহামারি করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতার কারনে সরকারী নির্দেশে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ ছিল।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশ প্রদান করেছেন। ৫৪৪ দিন পর শিক্ষার্থীদের কাছে পেয়ে খুব ভাল লাগছে। শিক্ষার্থীদের কলকাকলিতে আজ মুখরিত প্রিয় প্রতিষ্ঠান। মাস্ক মুখে দিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ ও শ্রেণী কক্ষে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে শ্রেণী পাঠদান কার্যক্রম হয়েছে।

এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহেদা আখতার বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুসারে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সকল প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম চলবে। কোথায়, কীভাবে ক্লাস হবে সে ব্যাপারে আমরা ‘জুমের’ মাধ্যমে সকল প্রতিষ্ঠানের প্রধানের সাথে বলেছি। এছাড়া প্রথমদিন সকাল থেকেই উপজেলা শিক্ষা ও জেলা শিক্ষা অধিদপ্তদের কর্মকর্তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছে।

ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন বিভিন্ন কর্মকর্তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিদর্শনে থাকবে।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ নুসরাত জাহান বলেন, ১৮ মাস বন্ধ থাকার উৎসবমুখর পরিবেশে সারাদেশের ন্যায় রূপগঞ্জের সকল স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় শ্রেণী কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ভয়াবহ করোনা থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।###
তারিখঃ১৩/৯/২১

Development by: webnewsdesign.com