শরীর সুস্থ আর ঝরঝরে রাখতে অনেকেই ভাত বাদ দিয়ে রুটি বেছে নেন। আবার বদহজমের ঝামেলা এড়াতে গমের তৈরি নানা উপাদানে ভরসা রাখেন অনেকে। কিন্তু এই রুটি বা আটা খেয়ে কী কী সমস্যা হতে পারে?
ভারতের একজন পুষ্টিবিদ বলছেন, গমে রয়েছে অতিরিক্ত মাত্রায় গ্লুটেন যা সহজে হজম হতে চায় না। গম বা গম থেকে তৈরি আটা-ময়দার খাবারে থাকে গ্লিয়াডিন আর গ্লুটিনিন (Gliadin and Glutenine) নামের প্রোটিন যা সহজে হজম হতে চায় না। ফলে শরীরে পরিপাকে বেশ কিছু পরিবর্তন হয়। অনেক সময় এর থেকেই পেটের নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। আটা-ময়দার খাবার থেকেই হতে পারে সিলিয়াক ডিজিজ। এর পোশাকি নাম ‘গ্লুটেন এনটেরোপ্যাথি’।
সিলিয়াক ডিজিজের প্রভাব ও উপসর্গগুলো যেমন দেখা যায়-
১) হিমোগ্লোবিনের অভাবে শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যহত হয়।
২) শিশুদের মধ্যে সব সময় একটা ঝিমুনি ভাব বা দুর্বলতা লক্ষ্য করা যায়। প্লীহা (স্প্লিন) শুকিয়ে যেতে পারে।
৩) ভিটামিন-ডি ও ক্যালসিয়াম পর্যাপ্ত পরিমাণে শোষণ না-হওয়ার ফলে হাড় ভঙ্গুর হয়ে যেতে পারে, অকালেই হাড়ের জোর কমে যায়। গাঁটে ব্যথা বোধ হতে থাকে।
৪) গ্লিয়াডিন বা গ্লিয়াডিনিন নামের প্রোটিন সহজে হজম হয় না। ফলে শরীর তার প্রয়োজনীয় প্রোটিন থেকে বঞ্চিত হয়। প্রোটিনের অভাবে পা ফুলতে পারে, পেটে জল জমতে পারে, এমনকি খিঁচুনি হতে পারে।
৫) লিভার বড় হয়ে যেতে পারে। মুখে ঘন ঘন ঘা হতে পারে।
৬) মহিলাদের ক্ষেত্রে ঋতুস্রাব বা মাসিক বন্ধ হয়ে গিয়ে বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
৭) সিলিয়াক ডিজিজের প্রভাব ত্বকের উপরেও পড়তে পারে। ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
৮) দীর্ঘদিন ধরে সিলিয়াক ডিজিজে ভুগলে তা ক্যান্সারের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
তবে এসবের অর্থ মোাটেও এটি নয় যে রুটি মুখে নেয়া যাবে না। বরং বিশেষজ্ঞ বলছেন, যদি এসবের কোনো উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে আর দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিৎ।
Development by: webnewsdesign.com