রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি, নাজেহাল রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বাসিন্দারা

বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট ২০২১ | ১২:৫৮ অপরাহ্ণ

রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি, নাজেহাল রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বাসিন্দারা
apps

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় চলছে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সড়ক সংস্কারের কাজ। বসানো হচ্ছে পয়োনিষ্কাশন পাইপ।

এজন্য খোঁড়া হয়েছে চারটি সড়ক। ফলে এলাকাটিতে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। অসহনীয় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসী ও পথচারীদের।
বুধবার (২৫ আগস্ট) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প অঞ্চল এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই চোখে পড়ে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা। এই এলাকার চারটি সড়কে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন কাজ চলছে।

হ্যাপি হোমসের মোড়, নিকেতন ২ নম্বর গেট, বিটাকের মোড় থেকে দীপিকার মোড় ও তেজগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মোড় থেকে রেজিস্ট্রি অফিসের মোড় পর্যন্ত সড়কে চলছে এই কাজ। এজন্য গর্ত করে মাটি তুলে রাখা হয়েছে সড়কে। সড়কের কোথাও কোথাও একটি লাইন চালু এবং অপর লাইনটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। সড়কগুলোর ফুটপাত ভাঙাচোরা ও গর্তে ভরা। নেই হাঁটার পরিবেশ। এতে সড়কে পথচারী ও যান চলাচলে সৃষ্টি হয় তীব্র জট। পথচারীদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ, ফুটপাত ব্যবহার করতে না পেরে প্রধান সড়কে নেমে পড়েন অনেকে। এতেও সৃষ্টি হয় যানজট।

স্থানীয় বাসিন্দা আরমান হোসেন বলেন, সড়কে উন্নয়ন কাজের কারণে এলাকাবাসীদের পোহাতে হচ্ছে অসহনীয় দুর্ভোগ। সবচেয়ে বেশি যানজট সৃষ্টি হয় অফিস আওয়ারে। সকাল ৮টা থেকে শুরু করে ১০টা পর্যন্ত রাস্তায় সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। এ সময় কেউ যদি সংস্কার কাজ চলা সড়কে যানবাহন নিয়ে ঢুকে পড়েন, তাহলে তার গন্তব্যে পৌঁছাতে এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় লেগে যায়। দীর্ঘক্ষণ থাকতে হচ্ছে জ্যামে। এছাড়াও জাতীয় নাক-কান-গলা ইনস্টিটিউট, তেজগাঁও থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মাদক নিরাময় কেন্দ্রে আসা ব্যক্তিদেরকেও পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী নিয়ে আসলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে পড়ে থাকতে হচ্ছে। এ সময় মনে হয় এই সংস্কার হওয়া থেকে না হওয়াই অনেক ভালো ছিল।

তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে করোনা সংক্রমণ রোধে দেওয়া হয়েছিল কঠোর লকডাউন। সে সময় এই কাজ করলে খুব ভালো হতো। সমন্বয়হীনতার অভাবেই প্রতিনিয়ত রাজধানীবাসীকে পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। সড়কের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলাফেরা করে এই এলাকায় শান্তি পাওয়া যাবে না। পথচারী মো. মানিক বলেন, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় বর্তমানে অফিস টাইমে সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ভয়ানক জ্যাম লেগেই থাকে। জ্যাম থেকে বের হতে যে কারোরই সময় লাগে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। বৃষ্টির দিনে তো অবস্থা আরও খারাপ হয়। কাদা আর লালমাটির কারণে সড়ক দিয়ে হাঁটা যায় না। আধা ঘণ্টা মুষলধারে বৃষ্টি হলে সড়কে জমে যায় হাঁটুপানি, আর আমাদের পোহাতে হয় অসহনীয় দুর্ভোগ।

এ বিষয়ে ডিএনসিসির ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউল্লাহ শফি বলেন, তার ওয়ার্ডের চারটি এলাকায় উন্নয়ন কাজ চলছে। এই কাজ শেষ হলে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে বর্ষায় কোথাও পানি জমবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেসব স্থানে কাজ চলছে সেখানে সড়কে মাটি ফেলে রাখা হচ্ছে না, সঙ্গে সঙ্গেই সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। যদি কোথাও মাটি ফেলে স্তূপ করে রাখা হয়, তাও দ্রুত সরিয়ে দেওয়া হবে। উন্নয়ন কাজের জন্য এলাকাবাসীদের কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সূত্র- বাংলানিউজ

Development by: webnewsdesign.com