রামেক হাসপাতালে কলেজ শিক্ষক লাঞ্ছিত

শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ

রামেক হাসপাতালে কলেজ শিক্ষক লাঞ্ছিত
apps

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) লাঞ্ছিতের শিকার হলেন রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু কলেজের শিক্ষক মামুন-অর-রশীদ রিপন। শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রামেক হাসপাতালের চার নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে।

লাঞ্ছিতের শিকার ওই শিক্ষকের অভিযোগ, চিকিৎসা দেবার সময় তার সাথে দুর্ব্যবহার করেছে রামেক হাসপাতালের চিকিৎসকরা। এ সময় আমি প্রতিবাদ করলে ওয়ার্ডের রেজিস্টার ও ইন্টার্নরা আনসার ডেকে আমাকে মারপিট করে। পরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

তিনি রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক। কিডনিজনিত অসুখে বৃহস্পতিবার তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। শুক্রবার সকালে ওয়ার্ডে বিছানা পরিবর্তন করা নিয়ে ওই শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন ওয়ার্ডে দায়িত্বরত এক নার্স।

এদিন দুপুরে চিকিৎসকের একটি দল ওয়ার্ড পরিদর্শনে আসে। ওই সময় শিক্ষক মামুন তার এক চিকিৎসক বন্ধুর পরিচয় দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ওয়ার্ড পরিদর্শনে আসা চিকিৎসকরা। এ সময় নাম-পরিচয় লিখে নিয়ে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন ওই তারা। এর কিছুক্ষণ পর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তিনজন আনসারকে নিয়ে এসে শিক্ষক মামুনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। পরে উল্টো চিকিৎসকদের হুমকি ও নার্সদের সঙ্গে অশ্লীল ব্যবহারের অভিযোগ এনে শিক্ষক রিপনের কাছ থেকে মুচলেকা নেয় তারা। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক।

এ বিষয়ে রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক সাইফুল ফেরদৌসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে এ বিষয়ে কেউই এখনও অভিযোগ করেনি।

এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে গিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হাতে মারধরের শিকার হন মুক্তিযোদ্ধা ইসাহাক আলী ও তার ছেলে রাকিবুল হাসান। পরবর্তীতে চিকিৎসকের অবহেলায় ওই মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী মারা গেলে লাশ আটকে রাখে ইন্টার্নরা। পরে তাদের কাছে লিখিতভাবে ক্ষমা চাওয়ার পর হাসপাতাল থেকে স্ত্রীর লাশ নিয়ে যেতে সক্ষম হন মুক্তিযোদ্ধা ইসাহাক আলী।

এই খবর সংগ্রহ করতে গেলে পরিচালকের অনুমতি নেই এমন দোহাই দিয়ে সাংবাদিকদের হাসপাতালের গেটে আটকে দেয়া হয়। বিগত প্রায় ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালটিতে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি এই হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলম বিষয়টি শুনে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং দ্রুত বিষয়টি মিটিয়ে ফেলতে হাসপাতালের পরিচালককে নির্দেশ দেন। এরপর প্রায় একমাস অতিবাহিত হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমান।

Development by: webnewsdesign.com