ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) দ্বিতীয় পর্বের খেলা দুই দিন আগে শুরু হলেও জমে উঠল মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর)। এদিন পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য জয় পেয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। জয়ের নায়ক কার্তিক ত্যাগী হলেও ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশি মুস্তাফিজুর রহমানই।
ইনিংসের শেষ ১২ বলে পাঞ্জাবের জেতার জন্য দরকার ছিল মাত্র ৮ রান, মামুলি এক টার্গেট। হেসেখেলেই যা টপকে যাওয়া যায়। এমন সময়ে সেরা বোলারদেরও বেশিকিছু করার থাকে না। অথচ ১৯তম ওভারে বল হাতে ম্যাচটা জমিয়ে দিলেন মুস্তাফিজ। ম্যাচজুড়ে যেভাবে বোলাররা নাস্তানাবুদ হয়েছে, তাতে ওই ওভারেই খেলে শেষ হয়ে গেলেও অস্বাভাবিক কিছু ছিল না। তবুও ম্যাচটা জমিয়ে দিলেন ‘ফিজ’।
নিজের স্পেলের শেষ ওভার ও ইনিংসের ১৯ তম ওভারে দিলেন মাত্র ৪ রান। তারপর তরুণ বোলার কার্তিক ত্যাগি যা করলেন তা অবিশ্বাস্য৷ মাত্র ১ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট, সঙ্গে ২ রানের জয়!
ম্যাচ শেষে সবাই ত্যাগিকে নিয়ে মাতামাতি, ধারাভাষ্যকক্ষে ঝড় উঠলেও রাজস্থানের অধিনায়ক স্যাঞ্জু স্যামসন মুস্তাফিজকে ভুললেন না। জানালেন, দলের বোলিংয়ে মূল ভরসা মুস্তাফিজকে তিনি স্লগ ওভারের জন্যই রেখে দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে আস্থা ছিল ত্যাগির ওপরও।
স্যামসন বলেন, ‘আমরা জয়ের আশা রাখছিলাম, এটা একটু হাস্যকরই বটে। মুস্তাফিজ ও ত্যাগির বোলিং স্লগ ওভারের জন্য রেখে দিয়েছিলাম। ক্রিকেট মজার এক খেলা। আমরা ভেঙে না পড়ে লড়াই চালিয়েছি এবং নিজেদের ওপর বিশ্বাস রেখেছি।’
বোলারদের ওপর এই আস্থা নতুন নয়। আসরের শুরু থেকেই মুস্তাফিজরা স্লগ ওভারে নৈপুণ্য দেখাচ্ছেন। আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বেও তাই অধিনায়কের স্বস্তি বোলিং নিয়ে।
তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় আমার বোলারদের ওপর আস্থা রাখি, লড়াই করে যেতে চাই এবং এ কারণেই শেষদিকে তাদের দুই ওভার বাকি রেখেছিলাম। এই স্কোর নিয়ে এই উইকেটে আমরা এগিয়েই ছিলাম কারণ আমাদের সেই মানের বোলার আছে। ক্যাচ মিস নিয়েও আক্ষেপ স্যামসনের। বলেন, ‘ক্যাচগুলো ধরতে পারলে আরও আগেই জিততে পারতাম।’
এদিনের ম্যাচে মুস্তাফিজ নিজের স্পেলে ৪ ওভার বল করে ৩০ রান দিলেও কোনো উইকেটের দেখা পাননি। তবে দুটি ক্যাচ ফিল্ডাররা তালুবন্দি করতে পারলে কাটার মাস্টারের নামের পাশে ২ উইকেট লেখা থাকত।
Development by: webnewsdesign.com