রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহীর আত্মহত্যার চেষ্টা

সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ | ৯:১৬ অপরাহ্ণ

রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহীর আত্মহত্যার চেষ্টা
apps

রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুজ্জামান মাত্র ১০ দিনের মাথায় মাদক মামলায় জামিন পেলেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জজ আদালত থেকে তিনি সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জামিন পান। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আদিব আলী নুরুজ্জামানের জামিন মুঞ্জুর করেন।

এ সময় আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. আ. সামাদ এবং সরকার পক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন সরকারি কৌসুলী অ্যাডভোকেট মো. নাজমুল আজম। তবে সাময়িক বরখাস্ত এই কর্মকর্তার সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া ওয়াহিদুজ্জামান লাজুক নামে তার সহযোগীকে জামিন দেননি আদালত।

এদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে সরকারি গাড়িতে ফেনসিডিল বহনের অভিযোগে কারাগারে থাকা রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব) নুরুজ্জামান আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, বর্তমানে ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রফেসর আজিজুল হক আজাদের অধীনে প্রিজন সেলে ভর্তি আছেন। রোববার তাকে কিছু পরীক্ষা-নিরিক্ষার জন্য দেয়া হয়েছে। তবে তিনি ডায়াবেটিক নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। সেই সাথে টেনশন করেন। সোমবার তার পরীক্ষা-নিক্ষীরা রির্পোট দেখার পর বিস্তারিত জানা যাবে তার কি হয়েছিল। আপতত সে ভালো আছেন। তাকে নিরাপত্তার মধ্যে রাখা হয়েছে।

এদিকে, শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করলেও রোববার (২৭ ডিসেম্বর) বিষয়টি জানাজানি হয়। এ নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. নাদিম সরকার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গত বুধবার বুকের ব্যথা নিয়ে নূরুজ্জামানকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে এনে সদর হাসপাতালের ৩নং কেবিনে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে কেবিনের বাথরুমের সিলিংয়ের সঙ্গে ট্রাউজারের ফিতা দিয়ে নুরুজ্জামান গলায় ফাঁস দেন। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক জানতে পেরে বাথরুমের দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে স্থানাস্তর করা হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার ইসমাইল হোসেন বলেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন এবং নুরুজ্জামান রাজশাহীতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গত ১১ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতুর টোলঘর এলাকা থেকে নুরুজ্জামানসহ দুইজনকে কোমল পানীয়র বোতলে সাড়ে ৬ লিটার ফেনসিডিলসহ আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এ ঘটনায় পরের দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠান।

Development by: webnewsdesign.com