রাজশাহী নওদাপাড়া এলাকর মিজানুর রহমান ঢাকায় একটি পোষাক কারখানায় চাকরি করেন। জরুরী প্রয়োজনে বুধবার দুই দিনের ছুটি নিয়ে বুধবার রাতে বাড়ি আসেন। শনিবার সকাল থেকে তার অফিস কারার কথা।
শুক্রবার বেলা ১১টার শ্যামলী পরিবহনের তার টিকিট ছিল। বাস বন্ধ থাকায় কাউটারে আসার পর তার টিকিট ফেরত নেয়া হয়। ফলে মিজানুর বিকল্প পথে ঢাকা যাওয়র পথ খুজেন। শুধু মিজানুর এই সম্যায় পড়েনি, একই অবস্থা আরও কয়েকজন যাত্রীর দেখা গেছে।
হটাৎ বাস বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন দুপাল্লার যাত্রীরা। হালকা যানবাহনে আন্ত:রুটে যাত্রীরা চলাচল করলেও দুপাল্লার যাত্রীরা পড়েছেন বেকায়দায়। শুক্রবার সকালের যাদের আগাম টিকিট ছিল তাদের ফেরত দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বাস বন্ধের কারণে ভিড় বেড়েছে রেল স্টেশনে।
ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে কর্মবিরতি পালন করছে রাজশাহীর পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। ফলে ঢাকা কোচসহ দুরপাল্লা ও আন্ত:জেলার সকল রুটে বাস-ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে। ডিজেলের দাম কমানো বা ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে ঘোষণা না আাসা পর্যন্ত এ কর্মবিরতি চলছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মটোর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী।
ডিজেল ও কেরসিনের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধিও প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়া হয়।
মাহাতাব হোসেন চৌধুরী বলেন, তেলের দাম বাড়ানো হলেও যানবাহনের ভাড়ার বিষয়ে কোন ঘোষণা আসানি। এ অবস্থায় আমরা বেশী ভাড়া নিতে চাইলে যাত্রদের ঝামেলা হবে। তাই বাধ্য হয়ে বাস বন্ধ রাখতে হচ্ছে। ভাড়া বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসার পর রাস্তায় যানবাহন নামানো হবে।
রাজশাহী বিভাগীয় সকড় পরিবহন মালিক সমিতি সভাপতি সাফকাত মঞ্জুর বিপ্লব বলেন, হঠাৎ করে ডিজেলের দাম অসাভাবিক হারে বৃদ্ধি এবং এর সাথে সমন্বয় করে বাসের ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি সুরাহা করা হয়নি।
এ কারণে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার সকল ৬টা থেকে অনিদৃষ্টিকালের জন্য কর্মবিরতি চলছে। আমাদের প্রথম দাবি তেলের দাম কমানো। তবে দাম না কমানো হলেও ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে হবে। এর পর সড়কে নামবে যানবাহন।
Development by: webnewsdesign.com