রাজশাহীতে পুলিশ দম্পতির ওপর হামলার ঘটনায় আটক যুব গেমসের কোচসহ আরও ৭ জনের জামিন

মঙ্গলবার, ০৭ মার্চ ২০২৩ | ৬:১৯ অপরাহ্ণ

রাজশাহীতে পুলিশ দম্পতির ওপর হামলার ঘটনায় আটক যুব গেমসের কোচসহ আরও ৭ জনের জামিন
রাজশাহীতে পুলিশ দম্পতির ওপর হামলার ঘটনায় আটক যুব গেমসের কোচসহ আরও ৭ জনের জামিন
apps

রাজশাহীতে শেখ কামাল দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমসে অংশ নিয়ে ফেরার সময় পুলিশ দস্পতি ওপর মারধরের অভিযোগে কারাবন্দি বাকি ছয় খেলোয়াড় ও কোচ জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত । মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট মো: লিটন হোসেন তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে সোমবার অপ্রাপ্ত বয়স্ক ৫ খেলোয়ারকে জামিন দেন রাজশাহী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ আদালতের বিচারক মুহা: হাসানুজ্জামান তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এর মাধ্যমে ১১ খেলোয়াড় ও তাদের কোচ জামিন পেলেন। জামিন পাওয়ায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খেলোয়ার পক্ষের আইনজীবি মাইনুর রহামান।

জামিনপ্রাপ্তরা হলেন, আলী আজম (১৯), আকাশ আলী মোহন (২০), রিমি খানম (১৯), পাপিয়া সারোয়ার ওরফে পূর্ণিমা (১৯), দিপালী (১৯) ও সাবরিনা আক্তার (১৯) এবং তাদের কোচ আহসান কবীর (৪৫)।
এর আগে গতকাল সোমবার ৫ খেলোয়াড় জামিন পান। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় রাজশাহী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক মুহা: হাসানুজ্জামান তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

রাজশাহীতে পুলিশ দস্পতিকে মারধরের মামলায় ৫ খেলোয়াড়ের জামিন এর আগে গত রোববার দুপুরে রাজশাহী রেলস্টেশনে ১১ খেলোয়াড়সহ তাদের কোচকে গ্রেপ্তার করে রেল পুলিশ। এরপর পাঁচজনের জামিন হলেও বাকি ছয় খেলোয়াড় ও কোচকে রোববার রাতেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। রাজশাহীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের নেওয়া হলে ভারপ্রাপ্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: লিটন হোসেন তাদের কারাগারে পাঠান।

যুব গেমসে অংশ নিয়ে ঢাকা থেকে ফেরার সময় জাতীয় জরুরি সেবায় (৯৯৯) কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল দস্পতি গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে হাতাহাতি ও মারামারি হয় খেলোয়াড়দের। এ সময় তাকে ও তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা জয়াকে মারধর, শ্লীলতাহানি ও গলার চেইন ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে রেলওয়ে থানায় মামলা করেন রাজিয়া সুলতানা। এ মামলায় ১১ খেলোয়াড় ও কোচকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

তবে খেলোয়াড়রা জানান, তাদের ব্যাগ ও টাকা হারিয়ে গেলে তা খোঁজার সময় পুলিশ কনস্টেবল গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে ফারহানা খন্দকারের ধাক্কা লাগে। এ সময় তিনি দুঃখ প্রকাশ করে সরিও বলেছেন। এরপরও গোলাম কিবরিয়া তাকে চড় মারেন। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি হয়। এতে আহত হন গোলাম কিবরিয়া। এরপর রেলওয়ে পুলিশ খেলোয়াড়দের থানায় এনে আটকে দেন।

Development by: webnewsdesign.com