রাজশহী নগরীর মেহেরচন্ডী এলাকায় সংখ্যালঘু কলেজ ছাত্রীকে বেশ কয়েকদিন ধরে ইভটিজিং করে আসছে একই এলাকার কয়েক বখাটে যুবক। ওই কলেজ ছাত্রী ও তার বাবা-মা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনের থেকে বাসার ফিরছিলেন। এ সময় একই এলাকার ঔই কলেজ ছাত্রীকে ইভটিজিং করে। এতে বাধা দেয়ায় বাবাকে পিটিয়ে জখম করে বখাটে যুবক।শুক্রবার (১২ আগষ্ট) রাত ৮ টার দিকে ওই কলেজ ছাত্রী ও তার বাব-মাকে বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনের থেকে বাসার ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে।
পরে মেয়েটির বাবাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের ৮ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে জখম করা হয়েছে। তার মাথা ও শরীরে ১৬টি শেলায় দেয়া হয়।হামলাকারি বখাটেদের মধ্যে রয়েছে, একই এলাকার সামাদ মাস্টারের ছেলে প্রিন্স, ইউসুফ খানের ছেলে মিরাজ, আক্তারের ছেলে রবিন, মৃত ইন্তাজ আলীর ছেলে ফরহাদ, মোস্তফার ছেলে রায়হান, আলঙ্গীরের ছেলে শাকিল।আহত মেয়ের বাবা জানান, মেয়েকে ইভটিজিংয়ে প্রতিবাদ করায় স্ত্রী ও মেয়ের সামনে তাকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। এ সময় বখাটেরা তার কাছ থেকে টাকা ছিনতাই ও সোনার চেন ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয় তাদের উদ্ধার করে।
ইভটিজিংয়ের শিকার কলেজ ছাত্রী জানান, কয়েকদিন ধরে একই এলাকার কয়েকজন বখাটে ছেলে আমাকে রাস্তায় ইভটিজিং করে আসছে। শুক্রবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে বাবা মার সামনে বখাটেরা আমাকে অশ্লিল কথা বলে। বাবা এর প্রতিবাদ করায় বখাটেরা হামলা করে বাবাকে মারধর করে। এ সময় তারা গলা থেকে স্বর্ণের চেন ও নগক ২০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ বিয়য়টি থানায় জানালেও এখন পর্যন্ত কোন মামলা করা হয়নি।মতিহার থানার ওসি আনোয়ার হোসেন তুহিন বলেন, বিষয়টি মৌখিক জেনেছি। এখনো লিখিত অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Development by: webnewsdesign.com