রাজশাহীতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী, ডাক না পেয়ে হতাশ, প্রধানমন্ত্রীর সভামঞ্চে উঠতে চান শরিক দল

বুধবার, ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ | ৮:০১ অপরাহ্ণ

রাজশাহীতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী, ডাক না পেয়ে হতাশ, প্রধানমন্ত্রীর সভামঞ্চে উঠতে চান শরিক দল
রাজশাহীতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী, ডাক না পেয়ে হতাশ, প্রধানমন্ত্রীর সভামঞ্চে উঠতে চান শরিক দল
apps

রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় আওয়ামী লীগ আমন্ত্রণ না জানানোই ক্ষুব্ধ ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা। তবে আমন্ত্রণের অপেক্ষায় হাত গুটিয়ে বসে থাকছেন না তারা। আগামী ২৯ জানুয়ারি ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠের জনসভায় শরিকরাও শোডাউন দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারা দল বেঁধে মাঠে হাজির হবেন বলো জানা যায়।

রাজশাহী সদর আসনের এমপি হিসেবে ওয়ার্কার্স পাটির কেন্দ্রীয় নেতা ফজলে হোসেন বাদশা মঞ্চে ঠাঁই পেতে জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। রাজশাহী ও ঢাকার শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথাও বলেছেন কিন্তু এখনো গ্রিন সিগন্যাল পায়নি।

জানা যায়, আগামী ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের ঘরোয়া রাজনীতি বেশ সরগম। পাড়া-মহল্লা থেকে মহানগর পর্যন্ত সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরাই উজ্জীবিত। প্রতিদিনই চলছে প্রস্তুতি মিছিল ও সমাবেশ এবং লিফলেট বিতরণ।

তবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিকদের মধ্যে চলছে টানাপোড়েন। জনসভায় আওয়ামী লীগ আমন্ত্রণ না জাননোই বেশ ক্ষুব্ধ তারা। অপেক্ষা করেও ডাক না পাওয়ায় অনেকটা হতাশ।
এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেন, আশা করেছিলাম জনসভার আগে ১৪ দলের একটু বৈঠক হবে। তাহলে আওয়ামী লীগ ছাড়াও অন্য দলগুলো জনসমাবেশের উদ্যোগ নিতে পারত। সেটা হয়নি। এটা বিচ্ছিন্নতা।
রাজশাহী সদর আসনের এমপি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চে উপস্থিত থাকার প্রশ্নে বাদশা বলেন, আমি আওয়ামী লীগের সবার সঙ্গেই যোগাযোগ করেছি কিন্তু সুনির্দিষ্ট করে তারা কিছু বলেননি।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজশাহীর একাধিক নেতা জানিয়েছেন, ফজলে হোসেন বাদশা তিনবারই এমপি হয়েছেন নৌকার টিকিটে। পাশ করার মতো নিজের ভোট রাজশাহীতে নেই। অথচ আওয়ামী লীগের ভোটে পাশ করেও তিনি আওয়ামী লীগেরই শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেই সুসম্পর্ক রাখেননি। যখন যেখানে সুযোগ পেয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতাদের ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন। তাদেরকে ইঙ্গিত করে প্রকাশ্যে জনসভায় বক্তব্য দিয়েছেন। তখন তিনি ভুলে যান জোটের কথা। এখন প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় তিনি আসার জন্য তদবির করছেন। মঞ্চে উঠার জন্য দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন তার লাভের জন্য।

এদিকে আমন্ত্রণ না পেলেও ওয়ার্কার্স পার্টি মাদ্রাসা মাঠে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় শোডাউন দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস প্রামাণিক দেবু।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ১৪ দলেরও নেত্রী। কাজেই তাকে স্বাগত জানাতে আমাদের নেতাকর্মীরা দলবেঁধেই মাঠে যাবেন। এরই মধ্যে আমরা প্রস্তুতি সভাসহ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি দিয়েছি।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সাড়া না দেয়ায় চটেছেন ১৪ দলের আরেক শরিক জাসদও (ইনু)। দলটির রাজশাহী মহানগর শাখার সিনিয়র কয়েকজন নেতা আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগও করেছিলেন কিন্তু জাসদকেও গ্রিন সিগন্যাল দেয়নি আওয়ামী লীগ। এতে ‘মন খারাপ’ জাসদ নেতাদের। তারা জোট শরিক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় থাকতে চান।

রাজশাহী মহানগর জাসদের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী বলেন, গেল ১৪ বছর ধরেই আওয়ামী লীগের সুখেদুঃখে আছি কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর আগমনের কালে আওয়ামী লীগের নেতারা আর কথা বলছেন না। আমাদের এড়িয়ে চলছেন। আমরা ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগও করেছি। কিন্তু তারা বলছেন, ১৪ দলকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি ঢাকায় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাই সিদ্ধান্ত নেবেন। রাজশাহী থেকে আমন্ত্রণ জানানোর সুযোগ নেই। তবে তারা না ডাকলেও আমাদের নেতাকর্মীরা মাঠে যাবেন।
আর আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, উনারা আসবেন। সবাই আসবেন। সমস্যা নেই। তবে মঞ্চে উঠতে দেওয়া হবে কিনা তা সিদ্ধান্ত নেবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ১৪ দল আওয়ামী লীগের সঙ্গেই আছেন।

Development by: webnewsdesign.com