রংপুরে দুই জনের যাবজ্জীবন ও সশ্রম কারাদন্ড

বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২ | ৫:৩৯ অপরাহ্ণ

রংপুরে দুই জনের যাবজ্জীবন ও সশ্রম কারাদন্ড
apps
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মুরাদপুর গ্রামে দীর্ঘ ২০ বছর পর নাবালিকা কিশোরীকে অপহরন করে গনধর্ষন করার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রায় প্রদান করা হয়েছে। দুই ধর্ষককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহসপতিবার দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-১ এর বিচ্রাক মোস্তফা কামাল এ রায় ঘোষ না করেন। রায় ঘোষনার সময় দুই আসামীই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। 
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনে জানা গেছে, ২০০২ সালের ১৪ মে জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের নাবালিকা কিশোরী মেয়ে একই গ্রামে তার বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলো। ওই দিন রাত ৮ টার দিকে কিশোরী মেয়েটি বাড়ির পার্শ্বেই টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে যায়। এ সময় আগে থেকেই ওত পেতে থাকা আসামী রফিকুল ইসলাম ও শাহ আলম কিশোরী মেয়েটিকে অস্ত্রের মুখে অপহরন করে বাড়ির অদুরে একটি ক্ষেতে নিয়ে যেয়ে দুইজন মিলে উপযুপরি ধর্ষন করে।
এসময় মেয়েটির আর্তচিৎকারে আশে পার্শ্বের লোকজন এগিয়ে আসামীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ধর্ষিতা কিশোরীর বাবা আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে পীরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে তিনি আদালতে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ বিচারক পীরগজ্ঞ থানাকে মামলাটি রেকর্ড করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের আদেশ দেয়। তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩০ জুন তারিখে মামলার তদন্ত কারী পুলিশ কর্মকর্তা এস আই খলিলুর রহমান দুই আসামীর বিরুদ্ধে চার্জসীট আদালতে দাখিল করে।
মামলায় ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বিজ্ঞ বিচারক আসামী রফিকুল ইসলাম ও শাহ আলমকে দোষি সাব্যস্ত করে অপহরনের অভিযোগে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেন। অন্যদিকে গন ধর্ষনের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। আদালত উভয় দন্ডই এক সাথে পালন করার আদেশ দেন।
সরকার পক্ষের মামলা পরিচালনাকারী বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট রফিক হাসনাইন জানিয়েছেন, ২০ বছর পরে হলেও নাবালিকা কিশোরী মেয়েকে অপহরন করে গন ধর্ষনের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেছেন। এ রায়ে বাদী ও সরকার পক্ষ সন্টুষ্টি প্রকাশ করছে। রায় ঘোষনার পর আসামীদের আদালতের হাজত খানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

Development by: webnewsdesign.com